কাটোয়া রোডে পুরনো রেল সেতু। —ফাইল চিত্র
৯০ বছরের পুরনো রেলসেতু ভাঙা নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করল রেল। একই সঙ্গে নতুন ঝুলন্ত রেলসেতুর নীচে থাকা জমি হস্তান্তর, সেই জমির ব্যবহার নিয়েও ওই বৈঠকে একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে মঙ্গলবারের ওই বৈঠকে।
জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় নতুন রেলসেতুর ট্র্যাফিক-ব্যবস্থা নিয়ে একগুচ্ছ প্রস্তাব দেন এ দিন। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সব প্রস্তাব তাদের পক্ষে মানা সম্ভব হবে না। জেলাশাসক বিজয় ভারতী আগেভাগে বৈঠকে হাজির বিভিন্ন দফতরের কর্তাদের ওই সব প্রস্তাবিত কাজ ভাগ করে দিয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাশাসক বর্ধমান-কাটোয়া রোডের পুরনো সেতুর বিকল্প হিসেবে ‘ফুটব্রিজ’ তৈরির দাবি করেছেন রেলের কাছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, পুরনো সেতু কী ভাবে ভাঙা হবে তা নিয়ে আলোচনার সময় জেলাশাসক ওই দাবি তুলেছেন। ওই দাবি লিখিত প্রস্তাব আকারে পাওয়ার পরে, বিস্তারিত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জেলা পুলিশের তরফেও জানানো হয়, শহরের একটা অংশের মানুষ রেলসেতুর অন্য পারে থাকেন। সাইকেল বা হেঁটে তাঁদের নিত্য যাতায়াত রয়েছে পুরসভায়। এ ছাড়া, প্রচুর মানুষ নানা কারণে স্টেশন এলাকায় হেঁটে আসেন। নতুন রেলসেতু দিয়ে যাতায়াত করতে বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের খুব অসুবিধা হবে। সে কথায় মাথায় রেখে পুরনো রেলসেতু ভাঙার প্রথম বৈঠকেই বর্ধমান শহরের জন্য ফুটব্রিজের দাবি করে জানানো হয়েছে। রেল আধিকারিকদের অনুমান, পুরনো সেতু ভাঙতে এখনও ছ’মাস সময় লাগবে। ততদিনে আলোচনার মাধ্যমে বিকল্প ভাবনা উঠে আসবে।
এ দিনের বৈঠকে নতুন রেলসেতুর নীচে ও পাশে থাকা কয়েক একর জায়গা কী ভাবে ব্যবহার করা হবে সে নিয়েও আলোচনা হয়। প্রাথমিক ভাবে বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ই-রিকশা পার্কিং দেখাশোনা করবে বর্ধমান পুরসভা। অন্য গাড়ির পার্কিং পরিচালনা করবে পরিবহণ দফতর। এ ছাড়া, এলাকা ও পুকুরের সৌন্দর্যায়ন, আলো লাগানোর কাজ করবে বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা বা বিডিএ। ওই সংস্থার চেয়ারম্যান, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শহর উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে ৪০-৪৫ কোটি টাকা খরচে সৌন্দর্যায়ন করা হবে।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলসেতুর উপর নির্দেশিকা লাগানোর জন্য রেলকে বারবার বলার পরেও প্রায় এক মাস ধরে তা লাগানো হয়নি বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন পুলিশ সুপার। এর আগে সেতু নির্মাণকারী সংস্থাকে চিঠি দিয়ে ট্র্যাফিক ব্যবস্থায় কী কী গাফিলতি রয়েছে জানিয়েছিলেন তিনি। বৈঠকে পুলিশের তরফে, মেহেদিবাগানের দিক থেকে পুরসভার দিকে ‘ডিভাইডার’-এর ব্যবস্থা, অন্তত ২০টা সিসি ক্যামেরা, রেলসেতুর উপরে কাটোয়ার দিকের কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়।
রেলের তরফে এই সব প্রস্তাব নিয়ে কোনও জবাব মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy