উদ্ধার করা গোখরো। নিজস্ব চিত্র।
বিষধর সাপ উদ্ধার করে আগলে রেখেছে বর্ধমান বনবিভাগ। বনকর্মীদের তৎপরতায় একের পর এক এলাকা থেকে উদ্ধার হচ্ছে ডিম-সহ বিষধর সাপ। বর্ধমানের রমনাবাগান অভয়ারণ্যে বন দফতরের কর্মীদের রক্ষণাবেক্ষণে ও পরিচর্যার মধ্যে ডিম আগলে রয়েছে বিষধর সাপগুলি। ডিম ফুটে কবে সাপের বাচ্চা বের হয় তারই অপেক্ষা চলছে এখন।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক দিন ধরে বর্ধমান শহর -সহ পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্য কয়েকটি জায়গা থেকে ১০টি বিষধর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে ছ’টি গোখরো এবং চারটি চন্দ্রবোড়া রয়েছে । তাদের রমনা বাগান অভয়ারণ্যে নিয়ে আসা হয়েছে।
বর্ধমান শহরের সরাইটিকর ভাসাপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে পাঁচটি ডিম সমেত প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা একটি মা গোখরো সাপ উদ্ধার করা হয়। মা সাপটিকে ডিম থেকে সরিয়ে উদ্ধার করতে হিমশিম খেতে হয় বনকর্মীদের। রমনাবাগানে আনার পরে আরও ১১টি ডিম পাড়ে ওই সাপটি। এর পর ফের গত মঙ্গলবার রায়না থানার বাঁকুড়া মোড় এলাকার একটি চালকলের ভিতর থেকে ২৭টি ডিম-সহ প্রায় চার ফুট লম্বা একটি মা গোখরো উদ্ধার করেন বনকর্মীরা।
রমনাবাগানে কর্মরত বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ডিম সমেত মা সাপগুলিকে প্রথমে কয়েকদিন একসঙ্গে রাখা হয়েছে। কারণ সেই সময়ে সাপ ক্ষিপ্ত অবস্থায় থাকে। এর পর ডিমগুলি পৃথক বাক্সে রেখে কৃত্রিম পদ্ধতিতে ফোটানোর ব্যবস্থা করা হবে। যাতে বাক্সের মধ্যে তাপমাত্রা ঠিক থাকে, সেই মত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
সাধারণত ২৬ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে সাপের বাচ্চা বেরিয়ে আসে। এর পর প্রথম কিছুদিন তাদের পিঁপড়ে খাওয়ানো হবে। পরে মাংস দেওয়া হবে। একটু বড় হয়ে গেলে সাপগুলিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) নিশা গোস্বামী জানিয়েছেন, বর্ষা শুরুর আগে সাপের আনাগোনা বাড়তে শুরু করায় মানুষজনকে সতর্ক ও সচেতন করতে উদ্যোগী হয়েছে বন দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy