টিকা দেওয়ার পরে ঘটে বিপত্তি। প্রতীকী চিত্র।
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল শতাধিক ভেড়ার। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে গলসি ২ ব্লকের সাঁকো মিদ্দাপাড়ার মাঠে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে ব্লক প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতর। বেশ কয়েকটি ভেড়ার দেহের ময়না-তদন্ত করানো হয়েছে। দেহ থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ থেকে চারটি ভেড়ার দল নিয়ে গলসির বিভিন্ন এলাকায় চরাতে এসেছিলেন প্রাণী পালকেরা। ওই দলগুলিতে প্রায় ১২০০টি ভেড়া রয়েছে, দাবি প্রাণী পালকদের। এক মাস আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। গলসিতে গত চার দিন ধরে ভেড়াগুলি চরানো হচ্ছিল।
তাঁদের দাবি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ভাইরাস ঘটিত রোগ থেকে বাঁচাতে নিয়মিত টিকা দেওয়া হয়েছিল ভেড়াগুলিকে। খাওয়ানো হয়েছিল ওষুধও। সেগুলি আনা হয়েছিল ঝাড়খণ্ড থেকে।
প্রাণি পালকদের দাবি, বৃহস্পতিবার বিকালে দু’টি দলে থাকা প্রায় সবক’টি ভেড়াকেই ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল। তার পরেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে মৃত্যু হয় ভেড়াগুলির। প্রাণী পালকদের মধ্যে গণহরি পাল ও সুরেন্দ্র পাল বলেন, “কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল। তার কিছুক্ষণ পরে ভেড়াগুলি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ছটফট করতে থাকে। সকাল থেকেই একের পর এক ভেড়ার মৃত্যু শুরু হয়। বিকেল ৩টে পর্যন্ত দোড়শোটি ভেড়া মারা গিয়েছে। অন্যগুলিও অসুস্থ হয়ে পড়েছে।”
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন গলসি ২ ব্লক প্রাণিসম্পদ আধিকারিক প্রেমজিৎ দাসের নেতৃত্বে পশু চিকিৎসকদের একটি দল। প্রেমজিৎ বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ালে এ ভাবে মারা যাওয়ার কথা নয়। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে কয়েকটি ভেড়ার দেহের ময়না-তদন্ত হয়েছে। রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করে দেহ থেকে। সেগুলি পরীক্ষার পরে মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে।” প্রাণী পালকদের দাবি, প্রতিটি ভেড়ার দাম সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা। তাঁদের কম-বেশি সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy