প্রতীকী ছবি
প্রায় ১৮ ঘণ্টা পরে খনিতেই খুঁজে পাওয়া গেল ‘নিখোঁজ’ এক কর্মীকে। পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার সাতগ্রাম এর ঘটনা। কাজ করতে নেমে বিজয়চাঁদ মাজি নামে ওই কর্মী খনির মধ্যে লুকিয়ে পড়েছিলেন বলে দাবি খনি কর্তৃপক্ষের। লুকিয়ে থাকার কথা স্বীকার করেন স্থানীয় বেড়েলার বাসিন্দা ওই কর্মী। ওই কাজ করায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, ইসিএলের ‘সিএমডি’র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায়।
খনি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ দ্বিতীয় ‘পালি’র কাজে যোগ দেন বিজয়বাবু। রাত ১২টা নাগাদ কাজ শেষ হয়ে গেলেও তিনি উঠে আসেননি। সহকর্মীরা রাতভর খোঁজাখুঁজি করেন। শেষে তাঁকে না পেয়ে তাঁরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান। কর্তৃপক্ষ হাজিরা খাতা দেখে নিশ্চিত হন, বিজয়বাবু খনি থেকে উঠে আসেননি। বুধবার সংস্থার উদ্ধারকারী দল খনিতে নেমে ১০টা নাগাদ তাঁর সন্ধান পায়। উদ্ধারকারী দলের দাবি, বিজয়বাবু খনিগর্ভের এমন একটি জায়গায় শুয়েছিলেন যে, তাঁকে সহজে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
কেন তিনি এমনটা করলেন?
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে মিঠাপুর খনিতেও একই ভাবে লুকিয়ে পড়েছিলেন বিজয়বাবু। সে বার প্রায় ১২ ঘণ্টা পরে, তাঁকে সংস্থার উদ্ধারকারী দল খুঁজে উপরে তুলে আনে। বিজয়বাবুর দাবি, ২ লক্ষ টাকা চেয়ে তাঁকে এক মহিলা ‘ব্ল্যাকমেল’ করার চেষ্টা করছেন। টাকা দিতে না চাইলে জনা দশেক অপরিচিত লোককে দিয়ে তাঁর উপরে নজর রাখা হয় বলে অভিযোগ। বছর দশেক আগেও একই কারণে তিনি মিঠাপুরে লুকিয়ে পড়েছিলেন। এত দিন ভয়ে পুলিশে অভিযোগ করেননি বলে দাবি বিজয়বাবুর। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মঙ্গলবার কাজে যাওয়ার সময়ে ওই জনা দশেক লোক খনির সামনে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করে। তাদের এড়িয়ে সাইকেল রেখে কোনও ভাবে খনিতে নেমে যাই। ভয়ে লুকিয়ে ছিলাম।’’ তিনি জানান, এ দিন তিনি জামুড়িয়া থানায় বিষয়টি জানিয়েছেন।
এ দিকে, ইসিএলের ‘সিএমডি’র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, ‘‘সাসপেন্ড করার পাশাপাশি, সংস্থাকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিজয়বাবুর বিরুদ্ধে জামুড়িয়া থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের তদন্ত করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy