—প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে কোলের শিশুকে আছড়ে মেরে নিজেকেও শেষ করে দিলেন এক যুবক। শনিবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত শিশুর নাম সুজন রুইদাস। নয় মাসের ওই শিশুকে কোল থেকে আছড়ে ফেলে দেন বাবা আবির রুইদাস। তার পর নিজে দৌড়ে রেললাইনের দিকে চলে যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু তাকে প্রাণে বাঁচানো যায়নি। খানিক পরে খবর মেলে তার বাবা আত্মঘাতী হয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
দুর্গাপুরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাগরভাঙা রুইদাস পাড়া এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, শনিবার সকাল থেকেই আবির এবং তাঁর স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। ঘরের বিছানায় তখন খেলছিল ন’মাসের শিশু সুজন। ঝগড়া করতে করতে রাগের চোটে শিশুপুত্রকে বিছানা থেকে তুলে আছাড় মারেন বাবা। চিৎকার-চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে যান তাঁদের বাড়িতে। সকলের সাহায্যে শিশুটিকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু রাস্তাতেই মৃত্যু হয় শিশুটির। পরিবার-পরিজনেরা শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে চলে আসে। এলাকা জুড়ে শোরগোল শুরু হয়। খবর পেয়ে কোকওভেন থানার পুলিশ গিয়ে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে। এ সবের মধ্যে শিশুর বাবার খোঁজ শুরু হয়। কিছু ক্ষণ পর জানা যায় তিনি দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনে মাথা দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।
এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা কানাই বাউড়ি বলেন, ‘‘দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাত আবির এবং তাঁর স্ত্রী পরমা। প্রায় দিনই বিবাদ লেগেই থাকত দু’জনের মধ্যে। শনিবার সকালে বিবাদ চরমে পৌঁছোয়। তখনই আবির তার কোলের সন্তানকে বিছানা থেকে তুলে আছাড় মারে। এলাকাবাসীরা আবিরকে চড়-থাপ্পড় মারতেই এলাকা ছেড়ে পালায় সে। তার পরেই শোনা যায় রেললাইনে মাথা দিয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হওয়ার এমন নির্মম ঘটনা আগে কখনও দেখিনি।’’ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy