রসুইয়ের রাস্তা। নিজস্ব চিত্র
বেহাল রাস্তা নিয়ে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ক্ষোভ রয়েছে। মাস দু’য়েক আগে দলের কর্মী সম্মেলনে এসে কেতুগ্রামের ভুলকুড়ি থেকে রসুই পর্যন্ত সেই রাস্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজের কাছে রাস্তা সংস্কারের দাবির কথা জেনে তা করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে কেতুগ্রাম ১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি উন্নত করার দাবিও জানান বিধায়ক। দু’টি কাজের বিষয়ই আধিকারিকদের লিখে নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেতুগ্রামের ভুলকুড়ি থেকে রসুই পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার রাস্তাটিতে দীর্ঘদিন ধরে বড়-বড় খন্দ তৈরি হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায়ই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটে। টোটো, গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে যায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অতিরিক্ত বালি বোঝাই গাড়ি চলায় রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের। তার জেরে ১৫-২০টি গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
কান্দরায় কেতুগ্রাম ১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেটি উন্নত করে গ্রামীণ হাসপাতালে পরিণত করার দাবিও অনেক দিনের। ৩০ শয্যার ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি রয়েছে প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে। কাটোয়া থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে নির্ভরশীল আশপাশের এলাকার কয়েকহাজার মানুষজন। দিনভর রোগীর ভিড় থাকে। কিন্তু পরিকাঠামোর উন্নতি না হওয়ায় পরিষেবা দিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অসুবিধায় পড়েন বলে অভিযোগ। বহির্বিভাগ ও আবাসন ভবন নতুন ভাবে গড়ে তোলা দরকার বলে দাবি রয়েছে। এ ছাড়া, করোনা-পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন রাখার জন্য আধুনিক মানের ‘কোল্ড চেন পয়েন্ট’ গড়াও প্রয়োজন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। কেতুগ্রাম ১ বিএমওএইচ অনুপ সরকার বলেন, ‘‘আমাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছিলাম। মু্খ্যমন্ত্রী নজর দিয়েছেন, জেনে খুব খুশি হয়েছি।’’
বিধায়ক শেখ সাহনেওয়াজ বলেন, ‘‘ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি গ্রামীণ হাসপাতালে রূপান্তরের আর্জি বিধানসভায় কয়েকবার জানিয়েছিলাম। ভুলকুড়ি-রসুই বেহাল রাস্তার জন্য মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আমাকে এলাকার কথা জিজ্ঞাসা করতেই এই দুই বিষয়ে দাবি জানাই। তিনি আধিকারিকদের লিখে নিতে বলেন। কাজ হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’’
বিজেপির জেলা (কাটোয়া) সহ-সভাপতি অনিল দত্তের মন্তব্য, ‘‘আশ্বাস তো অনেক দেওয়া হয়। কাজ কতটা হবে, সেটাই প্রশ্ন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy