এ ভাবেই দখল হয়ে রয়েছে রাস্তা। নিজস্ব চিত্র
রাস্তার দু’পাশে সার দিয়ে রয়েছে গ্যারাজ থেকে পুরনো গাড়ির যন্ত্রাংশ কেনাবেচার দোকান। আর ভাঙাচোরা গাড়ি থেকে তার নানা সামগ্রী, টায়ার পড়ে রয়েছে রাস্তার পাশেই। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। এমনই হাল কাঁকসার দার্জিলিং মোড় থেকে পানাগড় রেলওভারব্রিজ পর্যন্ত পুরনো জাতীয় সড়কের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর ফলে নোংরা হচ্ছে এলাকা। যদিও মাঝে মধ্যে দখলকারীদের উচ্ছেদ করতে অভিযান চালানো হয় বলে দাবি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কিন্তু নজরদারি কমে গেলেই আবার পুরনো জায়গায় চলে আসে এলাকা।
পানাগড় বাইপাস তৈরি হওয়ার আগে পানাগড় বাজারের মধ্যে দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়কের ৩ কিলোমিটার রাস্তায় যানজটে নাজেহাল হতে হতো নিত্যযাত্রীরা। এই রাস্তা পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লেগে যেত। কিন্তু বাইপাস তৈরি হওয়ার পর সেই যানজট আর হয় না এই এলাকায়। নিত্যযাত্রীরা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। সরকারি ও বেসরকারি বাস ছাড়া বেশিরভাগ গাড়িই বাইপাস হয়েই যাতায়াত করে। এই ৩ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সরকারি দফতর, স্কুল, ব্যাঙ্ক, দোকান-বাজার।
তবে সব থেকে বেশি রয়েছে পুরনো গাড়ির যন্ত্রাংশ কেনাবেচার বাজার। প্রায় হাজার খানেক ছোটবড় দোকান রয়েছে রাস্তার দু’পাশে। আর সেই সব দোকানের সামনে রাস্তা দখল করে পড়ে রয়েছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। কোথাও টায়ারের গাদা। আবার কোথাও সিট, কাচ, ইঞ্জিনের নানা অংশ পড়ে আছে। শুধু ওই সব জিনিসই নয়। অনেক জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে দাঁড় করানো আছে পুরনো গাড়ির নষ্ট হয়ে যাওয়া অংশবিশেষ। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে নিত্যযাত্রীরা জানিয়েছেন, রাস্তার যত্রতত্র এগুলি পড়ে থাকার ফলে পুরনো জাতীয় সড়কটি অনেক জায়গায় সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে। আগের মতো গাড়ির ভিড় না থাকলেও, সারাদিনই প্রচুর বাস, ছোটগাড়ি যাতায়াত করে। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় চালকদের। এক বাসচালক মহম্মদ সাবির বলেন, ‘‘দু’পাশে এমন ভাবে গাড়ির যন্ত্রাংশ পড়ে থাকে, যে কোনও সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে। বড় সড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।’’
মাস ছয়েক আগে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি চার চাকা গাড়িতে ধাক্কা মারে একটি বাস। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসটির বামদিকে কোনও জায়গা না থাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। সমস্যায় পড়তে হয় মোটরবাইক আরোহীদেরও। এমনই একজন দীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘রাতের দিকে চারপাশে অন্ধকার থাকে। দূর থেকে কিছু বোঝা যায় না। ফলে রাস্তার পাশে থাকা বিভিন্ন সামগ্রীতে প্রায় দিনই ধাক্কা লেগে যায়।’’ তা ছাড়া এলাকায় দূষণও ছড়াচ্ছে ওই সব জিনিস থেকে।
মাস দু’য়েক আগে ব্লক প্রশাসন ও পুলিশের তরফে ডেঙ্গি অভিযানে নামা হয়েছিল এই এলাকায়। তখন টায়ার, গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সরিয়ে এলাকা পরিচ্ছন্ন করার কথাও বলা হয়েছিল। কাঁকসার বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা বার বার ব্যবসায়ীদের জায়গা দখলমুক্ত করার জন্য বলেছি। অভিযানেও নামা হয়েছিল। ফের ওই এলাকায় দখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy