কাটোয়ায় তৃণমূলের কার্যালয়ে চলছে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
এলাকায় প্রচার করে গিয়েছেন দলের প্রার্থী। সেখানে এক সঙ্গে দেখা যায়নি কাটোয়ার শহরের তৃণমূলের দুই নেতাকে। বিধায়ক ও শহর সভাপতির এই দ্বন্দ্ব মেটাতে এ বার আসরে নামলেন দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ।
মঙ্গলবার বিকেলে কাটোয়া স্টেশন বাজার এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ও শহর সভাপতি অমর রামের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত। পরে স্বপনবাবু বলেন, ‘‘দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। ছোটখাটো মান-অভিমান, মনোমালিন্য অনেক সময় হয়। তবে এটা নির্বাচনের সময়। আমাদের লক্ষ্য একসাথে কাজ করে প্রার্থীকে যতটা সম্ভব বেশি ভোটে জেতানো। আমরা কেউ দলের বাইরে নই।’’
তৃণমূল সূত্রের খবর, ভোটের আগে দুই নেতার দূরত্ব মেটাতে পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের নির্দেশেই এই বৈঠক। দেড় ঘণ্টার বৈঠকে তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভও জানান। অমরবাবুর দাবি, পুরসভার বিভিন্ন বৈঠকে তাঁকে ডাকা হয় না। যদিও রবিবাবুর দাবি, যা করা হয়েছে দলকে জানিয়ে। ২০১৫ সালে রবিবাবু কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দু’জনের দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে বারবার। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে রবিবাবুর প্রার্থী হওয়া নিয়ে ক্ষোভ ছিল দলে। পরে ২০১৭ সালে পুরপ্রধান অমর রামকে অনাস্থা এনে সরিয়ে পুরপ্রধান হন তিনি। মাস খানেক আগেও পুরসভার বৈঠকে তাঁদের না ডাকা ও ‘হাউস ফর অল’-এর মতো বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে রবিবাবুর বিরুদ্ধে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হন অমরবাবু-সহ আরও দুই কাউন্সিলর। দোলের দিন ও গত সোমবার প্রার্থী সুনীল মণ্ডলের প্রচারেও শুধু রবিবাবুকেই দেখা গিয়েছে। এ দিন অবশ্য রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘আমাদের কোনও দ্বন্দ্ব নেই। ভোটের কাজ আমরা এক সাথেই করব।’’ অমরবাবু অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। স্বপনবাবুর দাবি, ‘‘নির্বাচনী কৌশল ঠিক করতে এই বৈঠক। কীভাবে আমরা কাজ করব তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বৈঠকে।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy