বাঁ দিকে, মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন কংগ্রেসের দুই কেন্দ্রের প্রার্থী সিদ্ধার্থ মজুমদার ও রণজিৎ মুখোপাধ্যায়। ডান দিকে, মনোনয়ন পেশ করতে জেলাশাসকের অফিসে সস্ত্রীক বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। মঙ্গলবার বর্ধমানে। ছবি: উদিত সিংহ
এখনও জনসভা তেমন হয়নি। বর্ধমান শহরে বড় মিছিল, দেওয়াল লিখনও চোখে পড়েনি। কিন্তু মঙ্গলবার, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে বড় মিছিল, জাঁকজমক করেই মনোনয়ন জমা দিলেন বর্ধমান পূর্ব ও বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের দুই কংগ্রেস প্রার্থী সিদ্ধার্থ মজুমদার ও রণজিৎ মুখোপাধ্যায়। আবার বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া আগের দিনই শহর জুড়ে প্রচার, রোড-শো করার পরে এ দিন একরকম নিঃশব্দেই মনোনয়ন জমা দিলেন জেলাশাসকের দফতরে।
এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কংগ্রেসের দুই প্রার্থী ঢাক নিয়ে শোভাযাত্রা করে মিছিল বের করেন। মিছিলে প্রার্থীরা ছাড়াও হাজির ছিলেন জেলা নেতৃত্ব। টাউন হল থেকে শুরু করে জিটি রোড ধরে ঢলদিঘি যায় মিছিলটি। সেখান থেকে বিএল হাটি রোড ধরে রানিগঞ্জ বাজারে গিয়ে ওঠে। সেখান থেকে আবার বিসি রোড, কার্জন গেট হয়ে মিছিল শেষ হয় জেলাশাসকের দফতরের সামনে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে বর্ধমান-দুর্গাপুরের প্রার্থী রণজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এক দিকে কর্মসংস্থান বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া, পাশাপাশি কৃষকদের দুরবস্থা থেকে বের করতে কংগ্রেস বা আমরা কী করতে পারি সেটাই মানুষকে জানানো আমাদের লক্ষ্য।’’ বর্ধমান পূর্বের কংগ্রেস প্রার্থী সিদ্ধার্থ মজুমদারেরও দাবি, “কংগ্রেসের প্রতি মানুষের ভালবাসা রয়েছে। সেটা প্রতিদিন বুঝতে পারছি।’’
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া আবার জ্যোতিষির পরামর্শ মেনে ‘অভিজিৎ যোগে’ জেলাশাসক দফতরে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। সোমবার তিনি বলেছিলেন, “রাত ১২টায় জন্মেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ আর দিনের বেলায় ১২টার সময় রামের জন্ম হয়েছিল। কেশরি সিনেমায় ২১ জন মিলে ১২টায় হামলা করেই শত্রু শেষ করে দিত।’’ তিনিও মঙ্গলবার স্ত্রী মেনকাদেবী, দুই ছেলে ও দু’জন বিজেপি নেতাকে সঙ্গে করে বেলা ১২টা নাগাদই মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। প্রার্থী বলেন, “দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল এককালে দেশের মধ্যে অন্যতম ছিল। আস্তে আস্তে সময়ের হাত ধরে উদ্যোগ রুগ্ণ হতে লাগল। কতগুলি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, কতগুলি বন্ধ হওয়ার মুখে। কিন্তু আমাদের সরকার নতুন প্রযুক্তি এনে, কী ভাবে তা লাভজনক করা যায় তার জন্যে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।’’
তাঁর দাবি, “রাসায়নিক সার কারখানা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে দুর্গাপুরেও বন্ধ রয়েছে। বাকি জায়গাগুলির জন্যে একটা রাস্তা বের করা গিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যনীতি অনুসারে দুর্গাপুরে ১৫৪ একর জায়গা হস্তান্তর করতে হবে সেই ফাইলটাই এখনও পর্যন্ত আটকে রয়েছে। যতক্ষণ না হচ্ছে, ততক্ষণ সেখানে কিছু করা যাবে না।’’ তবে তাঁর আশা, অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বেসরকারিকরণ শেষ পর্যন্ত হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy