মাঝ চৈত্রের মতো তাততে শুরু করেছে ভোটের আবহাওয়া। রাত পেরোলে শুরু হয়ে যাবে মনোনয়ন জমা। অন্য দল জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়লেও অপেক্ষা শেষ হয়নি বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি কর্মীদের। রাজ্যের সব আসনে দেলর প্রার্থী ঘোষণা হলেও বাদ পড়ে রয়েছে পুরুলিয়া ও এই আসনটি।
রবিবার দলের এক নেতা ফোনে বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় নেতারা বোধহয় বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার নামটা ভুলে গিয়েছেন! না হলে জেতার জন্য উপযুক্ত একটা আসনে প্রার্থী ঘোষণা হয় না!” এ দিন বর্ধমান-দুর্গাপুরের কংগ্রেস প্রার্থী রণজিৎ মুখোপাধ্যায় ভাতারে প্রচার করেছেন। তৃণমূলের প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতা দিনভর দুর্গাপুরে ছিলেন। সিপিএমের আভাস রায়চৌধুরীও একাধিক জায়গায় কর্মী বৈঠক, রাস্তায় নেমে প্রচার করেছেন। কিন্তু বিজেপি কর্মীদের ‘জোশ’ ঘরেই সীমাবদ্ধ।
প্রথম তালিকায় সারা দেশের ১৮২টি আসনের সঙ্গে এ রাজ্যের ২৮টি কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে বিজেপি। আসানসোল, বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা হয় সে দিন। তখনও বিজেপি কর্মীদের আশা ছিল, পরের তালিকায় নিশ্চয় প্রার্থী জানা যাবে। কিন্তু গত মঙ্গলবার আরও ১২টি আসনে প্রার্থী দিলেও বাদ থেকে যায় এই দুই কেন্দ্র। তার পরেও সপ্তাহ পার হতে চলেছে, অথচ প্রার্থীর খোঁজ নেই। রবিবার বিকেলে ‘ম্যাঁয় ভি চৌকিদার’ নামে একটি অনুষ্ঠানে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনানো হয় কর্মীদের। অনুষ্ঠান শেষে কয়েকজন কর্মীকে বলতে শোনা যায়, “দেওয়াল ফাঁকা রেখে তো আর ভোট-যুদ্ধে নামা যায় না। প্রার্থী না জানা পর্যন্ত উৎকণ্ঠা যাচ্ছে না।’’
বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্যে ৮-১০ জন দিল্লিতে হত্যে দিয়ে পড়ে রয়েছেন। দলীয় কর্মীদের মুখে ফ্যাশন ডিজাইনার থেকে এক প্রাক্তন সাংসদের নাম ঘুরছে। শোনা যাচ্ছে দলের আইন বিষয়ক পরামর্শদাতা থেকে এক চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের নামও। এমনকি, ওই দলে সদ্য যোগ দেওয়া এক বহিষ্কৃত নেতার নামও শোনা যাচ্ছে। দলের কর্মীদের অবশ্য সাফ কথা, “আর কানাঘুষো নয়, প্রার্থীকে চাক্ষুষ করতে চাই।’’ এর পরেও নাম ঘোষণা না হলে ভোটারেরা কটাক্ষ করবেন বলেও তাদেঁর দাবি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি নন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার ভারপ্রাপ্ত নেতা সন্দীপ নন্দী। তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে দলই শেষ কথা। আমাদের প্রতিটি আসনে প্রার্থী হলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে সামনে রেখেই আমরা প্রচার করছি। কর্মী বৈঠক থেকে মিছিল চলছে। কেউ হতাশ নন। সবাই লড়াইয়ের ময়দানে হাজির।’’ জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক খোকন দাসের পাল্টা, “বিজেপি প্রার্থী দিল কি না, সে নিয়ে আমরা ভাবতে রাজি নই। আমাদের প্রচুর ভোটে জিততে হবে সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy