Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Anganwadi center

খাবার নিয়ে ক্ষোভ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কেন্দ্র থেকে খাবার পান ৪০ জন শিশু এবং ১২ জন প্রসূতি। মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন স্থানীয়দের একাংশ।

জড়ো হয়েছেন মায়েরা। নিজস্ব চিত্র

জড়ো হয়েছেন মায়েরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:২৬
Share: Save:

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের ঠিকমতো খাবার দেওয়া দেওয়া হয় না। নজরে রাখা হয় না তাদের। এমনই বেশ কিছু অভিযোগে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। বুধবার ঘটনাটি ঘটে আউশগ্রাম ১ ব্লকের দিগনগর ২ পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীগঞ্জ আদিবাসী পাড়ার ১৮৫ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। এ দিন ওই কেন্দ্রে রান্না হয়নি। ঘণ্টা খানেক বসে ফিরে যেতে হয় কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকাকে। বিক্ষোভকারীরা ওই কেন্দ্রের কর্মীকে বদলি করার দাবি তুলেছেন। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কেন্দ্রের কর্মী টুম্পা মণ্ডল। ব্লকের শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক রিয়া সরকার বলেন, “গত সপ্তাহে ওই কেন্দ্র পরিদর্শন করেন সুপারভাইজ়ার। শিশু উপভোক্তাদের মায়েদের নিয়ে সভা হয়। তখন কেউ অভিযোগ করেননি। ওঁদের বক্তব্য খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” আজ, বৃহস্পতিবার সেখানে পরিদর্শন হবে, জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কেন্দ্র থেকে খাবার পান ৪০ জন শিশু এবং ১২ জন প্রসূতি। মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন স্থানীয়দের একাংশ। তাঁদের মধ্যে মুংলি হেমরম, লক্ষ্মী হাঁসদা, অঞ্জলি কিস্কু, রূপা মুর্মু, ছবি হাঁসদা, বাহামণি টুডু-দের অভিযোগ, “কেন্দ্রের কর্মী প্রায়ই দেরি করে আসেন। সকালে বাচ্চারা টিফিনের কৌটো নিয়ে কেন্দ্রে যায়। কর্মী না থাকলে ছেলেরা খেলতে চলে যায়। পরে তারা কেন্দ্রে গেলে খাবার দেওয়া হয় না। এ ছাড়া, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ছেলেমেয়েদের নজরে রাখেন না। কেউ অসুস্থ হলে খোঁজখবর নেন না।” তাঁদের আরও অভিযোগ, “খাবারের গুণমান নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলা হলেও তিনি গুরুত্ব দেন না। মঙ্গলবার কয়েক জন বাচ্চাকে শুধু ভাত দেওয়া হয়েছে। ডিম দেওয়া হয়নি।” তাঁদের দাবি, আগেও কেন্দ্রের কর্মীকে নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। তখন মিটমাট হয়ে যায়। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য ‘‘ওই কর্মীকে যতদিন না সরানো হবে, ততদিন কেন্দ্রের তালা খোলা হবে না।”

এ দিকে টুম্পার দাবি, “সরকারি নিয়ম মেনেই উপভোক্তাদের খাবার দেওয়া হয়। কিছু বাচ্চা কেন্দ্রে পড়াশোনা না করেই খাবার চায়। এ দিন গিয়ে দেখি, কেন্দ্রের দরজায় তালা লাগিয়েছেন স্থানীয় কিছু বাসিন্দা। তালা খোলার অনুরোধ করলেও তাঁরা তা করেননি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Anganwadi center Ausgram
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy