জনবসতির অদূরে ডাঁই কচুরিপানা। বীরভানপুরে। —নিজস্ব চিত্র
দুর্গাপুর ব্যারাজের সেচখাল ভরেছে কচুরিপানায়। সেচ দফতর কচুরিপানা তুলে পাড়ে রাখছে। কিন্তু পাশেই জনবসতি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকায়। এমনই অভিযোগ উঠেছে দুর্গাপুরের বীরভানপুরে। কচুরিপানা তুলে অন্যত্র ফেলার ব্যবস্থা না করলে কাজ করতে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন চারেক ধরে এই কাজ চলার পরে, সোমবার এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানান। তাঁরা দাবি করেন, কচুরিপানা তুলে এখানে ফেলা যাবে না। দুর্গাপুরে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আশপাশের এলাকা সাফসুতরো করার জন্য বার্তা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে বীরভানপুরে
বিপরীত পরিস্থিতি।
স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম দত্ত বলেন, “পাশেই ঘরবাড়ি রয়েছে। অথচ সেচখাল থেকে কচুরিপানা তুলে সেখানেই ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বর্ষার জল পড়ে তা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দম বন্ধ হয়ে আসছে।” মনেশ বাগদি নামে এক জন জানান, এলাকার মহিলাদের প্রতিবাদে আপাতত কচুরিপানা তোলার কাজ বন্ধ। কিন্তু যে কচুরিপানা তুলে পাড়ে মজুত করা হয়েছে, সেগুলি না সরালে পরিস্থিতি বদলাবে না। স্থানীয় বাসিন্দা উল্লাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শুধু সেচখাল থেকে কচুরিপানা তোলা হচ্ছে। কিন্তু ফিডার ক্যানালেও বছরের পর বছর ধরে কচুরিপানা জমে রয়েছে। সেগুলিও মাঝেমাঝে পচে গিয়ে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়ায়। সেগুলিও তুলে ফেলার দাবি জানাচ্ছি। তা তুলে অন্যত্র
ফেলা হোক।”
সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ঠিকা সংস্থাকে কচুরিপানা সাফ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সংস্থার কর্মীরাই কচুরিপানা তোলার কাজ করছেন। সোমবারের পরে মঙ্গলবারও কচুরিপানা তোলার কাজ হয়নি। বাসিন্দাদের দুর্ভোগ প্রসঙ্গে সেচ দফতরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, “ঠিকা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy