বন্ধ পড়ে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত এলাকাভুক্ত হলেও, কাঁকসার বেশকিছু এলাকায় শহুরে ছোঁয়া লেগেছে। তৈরি হয়েছে উঁচু উঁচু বহুতল আবাসন। কিন্তু সেই সব বাসিন্দাদের সমস্যায় ফেলছে বর্জ্য। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতভুক্ত এলাকা হওয়ায়, এখানে বর্জ্য সংগ্রহ করার কোনও ব্যবস্থা নেই। সেই সমস্যা দূর করতে কাঁকসার মলানদিঘি পঞ্চায়েতের তরফে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়। কিন্তু বছর ঘুরলেও, সেটি চালু হয়নি। যদিও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দ্বারা এটি চালানো হবে। যাতে কর্মসংস্থানও হয়।
কাঁকসার মলানদিঘি পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে আড়া, কালীনগররের মতো জনবসতি। যেখানে একের পর এক বহুতল আবাসন তৈরি হয়ে চলেছে। এর পাশাপাশি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, আইটিআই কলেজ, ম্যানেজমেন্ট কলেজও রয়েছে মলানদিঘি পঞ্চায়েত এলাকায়। কিন্তু বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায়, মলানদিঘি, আড়া, কালীনগর এলাকার মানুষদের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। আড়ার একটি বহুতল আবাসনের বাসিন্দা শুভজিৎ মণ্ডল, অনিমেষ মুখোপাধ্যায়েরা বলেন, “দুর্গাপুর পুরসভা এলাকার পাশে থাকলেও, এটি পঞ্চায়েত এলাকা। কাজেই পুরসভা এলাকায় বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে এ সবের কোনও বালাই নেই। এই পরিস্থিতিতে নিজেদেরই লোক ঠিক করে জঞ্জাল ফেলার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।” তাঁদের ক্ষোভ, “বছরখানেক আগে মলানদিঘি পঞ্চায়েতের তরফে একটি বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। কিন্তু সেটি আর চালু হয়নি। তাই সমস্যা আগে যা ছিল, এখনও তাই রয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রায় এক বছর ধরে এই কেন্দ্রটি একই অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বরুণ ঘোষালের ক্ষোভ, “মানুষের প্রয়োজনে এই কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। অথচ, সেটি কোনও কাজেই আসছে না” অবিলম্বে এটি চালুর ব্যবস্থা করার দাবি
তুলেছেন তাঁরা।
মলানদিঘি পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের জুন মাস নাগাদ প্রায় ২৯ লক্ষ টাকায় কুনুর নদীর পাশে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটি তৈরি করা হয়। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেটি কেন চালু হল না? এ বিষয়ে পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে, এই কেন্দ্রটি চালু করলে যাতে মানুষের কর্মসংস্থান হয়, সে দিকটি বিবেচনা করে কোনও স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিয়ে তা পরিচালনা করানো হবে। সেই গোষ্ঠী খোঁজার কাজ চলছে। দ্রুত এটি চালু করা হবে বলে আশ্বাস পঞ্চায়েতের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy