শিল্প বাঁচানোর ডাক দিয়ে সভা ডেকে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করার অভিযোগে ধৃত পাঁচ সিপিএম নেতা-কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করল আদালত। জেলা ভাগের প্রশ্নে আইনজীবীরা কর্মবিরতি পালন করায় ধৃতেরা নিজেরাই জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন। কিন্তু আদালত তাঁদের ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।
শনিবার সিপিএমের ওই সভার ভিড়ে সিটি সেন্টারের পলাশডিহা মোড়ে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। যানজটে আটকে যায় জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনের গাড়িও। সিপিএম কর্মীরা তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ, জেলাশাসক গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তাঁকে লক্ষ করে কটূক্তিও করা হয়। শেষে সিপিএম নেতারা বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে ভিড় সরানোর পরে যানজট কাটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এর পরেই দুর্গাপুর থানায় সিটি সেন্টার ফাঁড়ির আইসি জাতীয় সড়ক অবরোধের জন্য সিপিএম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ছয় নেতা পঙ্কজ রায় সরকার, মহাব্রত কুণ্ডু, কবি ঘোষ, সুবীর সেনগুপ্ত, গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়, নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায় এবং দলের দু’হাজার কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ করা হয়। রবিবার রাত পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার তাঁদের আদালতে তোলা হয়।
সিপিএম নেতা পঙ্কজবাবু বলেন, ‘‘শিল্প ও দুর্গাপুর শহর বাঁচানোর দাবিতে আমাদের আন্দোলন এ ভাবে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমরা সবাই মঙ্গলবার বিকেলে মিছিল করে দুর্গাপুর থানায় গ্রেফতার বরণ করতে যাব।’’ এ দিন সিপিএমের ১৩টি গণ সংগঠনের যৌথ মঞ্চের ডাকে দুর্গাপুর ২ পূর্ব জোনাল কমিটি আয়োজিত সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী নাগরিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এক সঙ্গে এত জনের বিরুদ্ধে মামলা করার অর্থ, পুলিশ গণ আন্দোলনকে ভয় পেয়েছে।’’ পুলিশ অবশ্য জানায়, যা করার আইন মেনেই করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy