Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Khari River Dried Up

সরকারের নথিতে নদী, তবুও অস্তিত্বের সঙ্কটে খড়ি

মাড়ো গ্রামের গোয়ালাপাড়া হয়ে এই নদী বুদবুদের সাধুনগর, বুদবুদ বাইপাসের পাশ দিয়ে গলসি, আউশগ্রাম হয়ে নাদনঘাটে ভাগীরথীতে মিশেছে।

khari river dried up

এখন এমনই হাল নদীটির। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বুদবুদ শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৩ ০৮:২৬
Share: Save:

বিভিন্ন সরকারি নথিতে নদী হিসাবেই খড়িকে উল্লেখ করা রয়েছে। কিন্তু বুদবুদের মানকর পঞ্চায়েতের মাড়ো গ্রামের একটি জলাশয় থেকে উৎপত্তি হওয়া খড়ি এখন শুধু নামেই নদী। মজে যাচ্ছে সেটির গতিপথ। এলাকাবাসীর দাবি, নদীটিকে বাঁচাতে গেলে দ্রুত সংস্কার করা দরকার।

খড়ি নদীতে বছরের বেশির ভাগ সময়েই জল থাকে না। মাড়ো গ্রামের গোয়ালাপাড়া হয়ে এই নদী বুদবুদের সাধুনগর, বুদবুদ বাইপাসের পাশ দিয়ে গলসি, আউশগ্রাম হয়ে নাদনঘাটে ভাগীরথীতে মিশেছে। এক সময় আউশগ্রাম ২ ব্লকের কোটা, বলরামপুরের মতো বিভিন্ন জায়গার জল এসে জমা হত মাড়ো গ্রামের ওই জলাশয়ে। পরে সেচখাল তৈরি হওয়ায় এই সব গ্রামের জল সেচখালেই পড়তে থাকে। আস্তে-আস্তে খড়ি নদী ও সেটির উৎসস্থলে জল কমতে থাকে।

মাড়োর বাসিন্দা অম্বরীশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই নদীর পাড়ে মকর সংক্রান্তির দিন মেলাও বসত। কিন্তু খড়ি আস্তে আস্তে শুকিয়ে যাওয়ার ফলে নদীর পাড়ে আর কোনও মেলা বসে না। তবে এখনও বার্ষিক পুজো হয়। এলাকাবাসী জানান, বর্ষায় এখনও নানা জায়গার জল খড়িতে এসে পড়ে। ফলে, নদীতে জলও বাড়ে। কিন্তু গতিপথ মজে যাওয়ায়, খড়ির দু’পাড়ে লাগোয়া কৃষিজমি ভাসিয়ে দেয় সেই জল। চাষিরা জানান, প্রায় প্রতি বছর খড়ির জলে বুদবুদের বহু কৃষিজমি ডুবে যায়। স্থানীয় চাষি বাপ্পাদিত্য রায়, সঞ্জয় রুইদাসেরা বলেন, “নদীটি সংস্কার করা দরকার। তা না হলে, বর্ষায় আমাদের দুর্ভোগ কমবে না।” গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নদীটি সংস্কারের বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে। তবে খড়ির উৎপত্তিস্থল মাঝেমধ্যেই সংস্কারকরা হয়।”

অন্য বিষয়গুলি:

Budbud
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy