বাড়ির উঠোনে উঠে এসেছে নোংরা জল। —নিজস্ব চিত্র
রাস্তা সম্প্রসারণ হয়েছে। কিন্তু সেই কাজের জন্য বুজিয়ে দেওয়া হয়েছিল নালা। এই পরিস্থিতিতে নোংরা জলে থইথই বাড়িঘর। বৃষ্টি পড়লে সমস্যা আরও বাড়ে, জানান কেতুগ্রামের কোমরপুরের বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁরা জানান, বাড়ির উঠোনে টানা জল দাঁড়িয়ে থাকায় মশাবাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেতুগ্রাম ২ ব্লকের নিরোল পঞ্চায়েতের কোমরপুর হাটতলা বাসস্ট্যান্ডের উত্তর দিক বরাবর পাঁচশো মিটারের একটি পুরনো নালা ছিল। নালাটি দিয়ে বেণীনগর, ধান্দলসা, কোমরপুর হাটতলা, এই গ্রামগুলির বাড়ি ও মাঠের জল যেত।
কিন্তু ২০১৮ থেকে সমস্যার শুরু। ওই বছর বোলপুর-কাটোয়া রাজ্য সড়ক সংস্কার হওয়ায় নালার উপরে মাটি ফেলে তা বুজিয়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা মোহনাল শেখ, দেবাশিল গুঁইরা বলেন, ‘‘গত বছর চার মাস কোমরপুর হাটতলার বিভিন্ন বাড়িতে জল জমেছিল। নোংরা জল জমে দুর্গন্ধ ছড়ায়। বৃষ্টি পড়লে ঘরে যেন বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়।’’ বেশ কয়েকবার আর্জি জানানো হলেও নালাটি ফের তৈরি করেনি পূর্ত দফতর ও স্থানীয় পঞ্চায়েত, অভিযোগ বরুণ সাহা, রাজ প্রামাণিকদের।
সম্প্রতি হাটতলার শেখ সাবির হোসেনের বাড়ি গিয়ে দেখা গেল, উঠোনে জমে নোংরা জল। জমা জলে মশার লার্ভাও জন্মেছে। বাড়ির সদস্যেরা কোনও রকমে জলের উপরে ইট পেতে ঘরে ঢুকছেন। সাবির জানান, তাঁর স্ত্রী রিঙ্কি বিবি জমা জল থেকে মশাবাহিত রোগ ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় দু’মাসের শিশুকে নিয়ে অন্যত্র থাকছেন। সাবিরের মা আসমাতারা বিবি বলেন, ‘‘পাঁচ দিন ধরে জ্বরে ভুগছি। মশাবাহিত রোগ নিয়ে সরকার সচেতনতা প্রচার করে। অথচ, বাড়ি, পাড়ার এই হাল নিয়ে কারও কোনও মাথাব্যথা নেই।’’
হাটতলার পশ্চিম দিকের আরও একটি কালভার্ট সংস্কারের কাজের জন্য বুজিয়ে ফেলা হয় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা অরিজিৎ সিংহ, শেখ মিরাজুল হকেরা। তাঁদের অভিযোগ, সমস্যা বাড়িয়েছে জবরদখলও। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘মাস ছয়েক আগে চড়কতলা পুকুরপাড়ে কালভার্টের উপরে নির্মাণ তৈরি হওয়ায় নিকাশি নালাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’ স্থানীয় লাল্টু শেখের বাড়িতেও জল জমেছে বলে অভিযোগ।
নতুন নালা তৈরির আর্জি পূর্ত দফতরকে গত ৬ অগস্ট লিখিত ভাবে জানানো হয়েছিল বলে জানান নিরোল পঞ্চায়েতের প্রধান মিহিরকুমার মণ্ডল। তাঁর কথায়, ‘‘গত বছর রাস্তা সংস্কারের সময়েও বিষয়টি পূর্ত দফতরকে জানিয়েছিলাম।’’ বিষয়টি নিয়ে পূর্ত দফতরের রামজীবনপুর হাইওয়ে ডিভিশনের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার অসীম ঘোষ বলেন, ‘‘রাস্তা সংস্কার চলাকালীন নিকাশি নালা না বোজানোর দাবি আগেও এসেছিল। এলাকায় গেলে ব্যবসায়ীদের একাংশ নালা তৈরিতে দ্বিমত প্রকাশ করেন। নতুন নালা তৈরির আর্জির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy