হিজলগড়ায় মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সৌজন্যের অভাবের অভিযোগ করলেন কেন্দ্রের পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল। যদিও, তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমানে এসেছিলেন মন্ত্রী। রবিবার তিনি দিল্লি ফিরে যান। তার আগে তিনি আসানসোলে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন, “রাজ্যে সৌজন্য ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ নেই।” তাঁর এমন তোপ কেন, তার ব্যাখ্যাও দেন তিনি। দাবি করেন, দেশের অনেক রাজ্যই, যেমন অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ুতে অ-বিজেপি সরকার রয়েছে। কিন্তু সে সব রাজ্যে গেলে সেখানকার সরকারি আধিকারিক, রাজ্যের শাসকদলের নেতা, মন্ত্রীরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। কী প্রয়োজন, তা-ও জানান। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমানে এসে, তার লেশমাত্রা দেখা যায়নি, অভিযোগ মন্ত্রীর। মন্ত্রী একই অভিযোগ করেন জামুড়িয়ার হিজলগড়াতেও।
পাশাপাশি, হিজলগড়ায় বিজেপির বুথ স্তরের জনসংযোগ কর্মসূচিতেও যোগ দেন মন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, “এই রাজ্যে কেউ সমস্যার কথা বলতে চাইছেন না। কোনও চাপের কারণেই এমনটা হচ্ছে।”
তবে মন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, শুক্রবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করেছেন। তাঁর যাবতীয় প্রশ্নের উত্তরও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসনের বক্তব্য, “রাজ্যে উন্নয়নের কোনও কর্মসূচি নিয়ে কেন্দ্রের মন্ত্রীরা আসছেন না। আসছেন একতরফা ভাবে রাজ্যকে আক্রমণ করতে। তাই কেউ দেখা করেন না। উন্নয়নের কর্মসূচি নিয়ে এলে অবশ্যই কথাবার্তা হবে।”
এ দিকে, বিজেপির জামুড়িয়া বিধানসভার সহ-আহ্বায়ক গৌতম মণ্ডলের অভিযোগ, মন্ত্রীর হিজলগড়া পৌঁছনোর কথা ছিল সকাল সাড়ে ৯টায়। কিন্তু পুলিশ ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের বদলে মন্ত্রীর কনভয়কে জামুড়িয়া শহরের ব্যস্ততম রাস্তা দিয়ে নিয়ে যায়। ফলে, মন্ত্রী সাড়ে ১১টায় গন্তব্যে পৌঁছন। পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy