Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ভাল পরিষেবা দিতে নানা প্রস্তাব কমিটির

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভাল পরিষেবার জন্য ‘মিউটেশন’, জমির চরিত্র পরিবর্তনের কাজ দ্রুত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি, বালি-মাটির অবৈধ কারবারের খবর পেলে দ্রুত অভিযান চালানোর মতো প্রস্তাবও দেওয়া হয়।

কালনায়। নিজস্ব চিত্র

কালনায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০৪
Share: Save:

কোথাও কর্মী সংখ্যা কম। কোথাও বা অভিযান চালানোর জন্য পর্যাপ্ত গাড়ি নেই। কিন্তু তার পরেও জনসাধারণ কী ভাবে এই দফতর থেকে ভাল পরিষেবা পেতে পারেন, সে বিষয়ে প্রস্তাব দিল রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের স্ট্যান্ডিং কমিটি। শনিবার কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির একটি বৈঠকে নানা প্রস্তাব ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়।

ওই কমিটিতে রয়েছেন কালনা ও জামালপুরের বিধায়ক যথাক্রমে বিশ্বজিৎ কুণ্ডু ও সমর হাজরা। শুক্রবার থেকে কমিটির চেয়ারম্যান অর্ধেন্দু মাইতির নেতৃত্বে একটি দল পূর্ব মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমানের বেশ কিছু এলাকার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন। তার পরে শনিবার বৈঠকটি হয়। সেখানে ছিলেন জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাধিপতি শম্পা ধারা, সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু ও প্রশাসনের নানা স্তরের কর্তারা।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভাল পরিষেবার জন্য ‘মিউটেশন’, জমির চরিত্র পরিবর্তনের কাজ দ্রুত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি, বালি-মাটির অবৈধ কারবারের খবর পেলে দ্রুত অভিযান চালানোর মতো প্রস্তাবও দেওয়া হয়। তবে অর্ধেন্দুবাবু বলেন, ‘‘ধারাবাহিক অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে গাড়ি পেতে সমস্যা হয়। বর্তমানে বছরে ৮০ দিন অভিযানের জন্য গাড়ি বরাদ্দ রয়েছে। তা বাড়িয়ে যাতে ১২০ দিন করা যায়, সে বিষয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটি রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেবে।’’ এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনকেও সহযোগিতা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।

পাশাপাশি, পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষ যাতে কোনও অভিযোগ না তোলেন, সে বিষয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্তাদের সতর্ক করা হয়। জানানো হয়, ফসল তোলা ও কাটার সময়ে কোনও জমির মালিক ১৪৪ ধারা জারির জন্য আর্জি জানালে সেই দিনই সংশ্লিষ্ট এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানোর কথাও বলা হয়। ‘কৃষক বন্ধু’র জন্য জমির নথি সংক্রান্ত কোনও হয়রানি যাতে না হয়, সে বিষয়েও খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে।

তা ছাড়া, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আশপাশে দালাল চক্র সক্রিয় বলে বহু বার অভিযোগ উঠেছে। এই দালাল-রাজ রুখতে বিএলএলআরও-দের আরও তৎপর হওয়ার পরামর্শ দেন অর্ধেন্দুবাবু। বৈঠকে মন্ত্রী স্বপনবাবু জানান, অনেক সময়ে অল্প এলাকার বালি বা মাটি তোলার নাম করে বড় এলাকায় কারবার চলে। তাঁর প্রস্তাব, ‘‘এ বিষয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর যদি এলাকা চিহ্নিত করে, তা হলে সমস্যা মিটবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Kalna Land And Land Reform
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy