জিতেন্দ্র তেওয়ারী। —ফাইল চিত্র।
কয়লার বেআইনি কারবারের সিন্ডিকেট নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ বার এই কারবারের মাথা হিসেবে তিন জনের নাম করে ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ওই তিন জনের মধ্যে তিনি ইসিএলের শীর্ষকর্তা, সিএমডি অম্বিকাপ্রসাদ পন্ডার নামও করেছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য ফোন করা হলেও উত্তর দেননি সিএমডি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জবাব মেলেনি তাঁকে পাঠানো মেসেজেরও। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্তাকে বিজেপি নেতা এ ভাবে নিশানা করায় সরব হয়েছে তৃণমূল।
জিতেন্দ্র তাঁর ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে ইংরেজিতে লেখেন, ‘জনতার উপলব্ধি। আসানসোলে বেআইনি কয়লা সিন্ডিকেটের মাথা তিন জন, কান্তা শর্মা, মিঃ পন্ডা, বাপি দে।’ তিন জনের পরিচয়ও দেন জিতেন্দ্র। কান্তাকে কয়লা-সিন্ডিকেটের মাথা হিসেবে উল্লেখ করেন। ‘মিঃ পন্ডা’ হলেন, ইসিএলের সিএমডি। কয়লা ‘আউটসোর্স’ সংক্রান্ত সংস্থার মাথা বাপি। জিতেন্দ্র তাঁর পোস্টে কোল ইন্ডিয়া, ইডি এবং সিবিআই-কে ‘ট্যাগ’-ও করেছেন।
পরে সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছেও জিতেন্দ্র অভিযোগ করেন, “বর্তমানে কয়লা চুরির আখড়া হয়ে উঠেছে ইসিএলের বৈধ খোলামুখ খনিগুলি। সিআইএসএফ এবং ইসিএলের নিজস্ব রক্ষীরা নীরব।” কারা কী ভাবে যুক্ত এই ‘সিন্ডিকেটে’, তা-ও ব্যাখ্যা দেন জিতেন্দ্র। তাঁর দাবি, বেশির ভাগ খোলামুখ খনিতে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে কয়লা তোলা হয়। এমনই এক সংস্থার কর্তা উখড়ার বাপি ওরফে বিশ্বদীপ দে সিএমডি-র প্রশ্রয়ে নিজের দায়িত্বপ্রাপ্ত খনি ছাড়াও অন্য খনিতে কর্মরত ঠিকা সংস্থাগুলিকে অবৈধ কারবারে যুক্ত করার কাজ করছেন।
বিষয়টি নিয়ে সিএমডি-র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসিএলের এক কর্তা শুধু বলেন, “কোনও রাজনৈতিক নেতার বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিতে আমরা বাধ্য নই।” বাপি রাত পর্যন্ত ফোন ও মেসেজের জবাব দেননি। বারাবনির আমডিহার বাসিন্দা কান্তা বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ। কোনও দিন কয়লার অবৈধ কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এখনও নই।”
বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসনের তোপ, “আমরা প্রথম থেকেই বলছি, কয়লা চুরিতে যুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইসিএলের কর্তারা। এখন বিজেপি-র নেতাও সে কথা বলায়, আমাদের অভিযোগ কতটা সত্যি, সেটা বোঝা গেল।” জিতেন্দ্রের পাল্টা বক্তব্য, “কেন্দ্র নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে। তাই কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা ইসিএলের ছ’জন কর্তাকে গ্রেফতার করেছিল। আমার আর্জি, অন্যায় যে-ই করে থাকুন, নিস্তার পাবেন না। ইডি, সিবিআই নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে বলে, তাদের ট্যাগ করে বিষয়টি নজরে এনেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy