বাবুল সুপ্রিয় ও জিতেন্দ্র তিওয়ারি। —ফাইল চিত্র।
বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি থেকে তৃণমূলে গেলেও তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটেনি। এমনটাই বলছেন বাবুলের আসানসোলের গেরুয়া শিবিরের অন্যতম নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ঘটনাচক্রে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যান জিতেন। সেই সময় বাবুল ছিলেন পদ্মশিবিরে। প্রাথমিক ভাবে জিতেনকে দলে নেওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন আসানসোলের সাংসদ। যদিও পরে দলে জিতেনের অন্তর্ভুক্তি মেনে নেন তিনি। পদ্মশিবিরে বাবুলের সঙ্গে কয়েক মাসের সেই যৌথযাপনের স্মৃতি তুলে ধরে এ বার জিতেনের এই বক্তব্য।
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর শনিবার ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন বাবুল। সেখানে জিতেন সম্পর্কে নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন তিনি। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই জিতেন বলেছেন, ‘‘বাবুলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খারাপ নয়, ভাল। রাজনৈতিক লড়াই আছে থাকবে। বাবুলকে এক বার ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিলাম। তার পর বুঝেছি, তাতে বাবুল একা নন, তাঁর পরিবারের সকলেই আহত হয়েছেন। শুধু বাবুল নয়, এর পর থেকে কোনও দিনও আমি কাউকেই ব্যক্তিগত আক্রমণ করি না। কারণ আমরা ব্যক্তিগত আক্রমণ করার সময় ভুলে যাই যে, তাতে কারও পরিবারের সদস্যরা আহত হন।’’ তবে বিজেপি-র সদ্য বিদায়ী রাজ্য সভাপতি তথা অধুনা সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি সম্পর্কে বাবুলের যা মত, তার উল্টোকথাই বলছেন জিতেন। তাঁর মতে, ‘‘দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বাবুল সুপ্রিয় যা বলেছেন তা ওঁর আর দিলীপদার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকে দিলীপদার সঙ্গে যতটা মেলামেশার সুযোগ পেয়েছি, তাতে বুঝেছি উনি খুব ভাল হৃদয়ের মানুষ। মন খুলে সকলের সঙ্গে কথা বলেন। মনের মধ্যে কিছু রাখেন না।’’
বর্তমানে সক্রিয় রাজনীতি থেকে কিছুটা সরে গিয়েছেন জিতেন। এখন তিনি কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী। ফলে তাঁর রাজনৈতিক গতিবিধি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। যদিও সেই জল্পনায় জল ঢেলে জিতেন বলছেন, ‘‘আমি কোথাও যাচ্ছি না। বিজেপি-তে থাকব। আমি দলবদল করতে পারি, এটা রটনা ছাড়া আর কিছুই নয়।’’
শনিবার ফেসবুক লাইভে বাবুল জিতেন সম্পর্কে বলেন, ‘‘আসানসোলে আমি জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে বিজেপি-তে নেওয়া নিয়ে প্রাথমিক ভাবে আপত্তি করেছিলাম। কিন্তু উনি এক জন রাজনৈতিক নেতা। উনি তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছিলেন, বিধায়ক ছিলেন, আসানসোলের মেয়র ছিলেন। ওঁর তো একটা রাজনৈতিক অবস্থান আছে। আমি অন্য দল থেকে এক জন রাজনীতিবিদকে আমার দলে আনছি। প্রত্যেক রাজনীতিবিদের জীবনে কোনও না কোনও বিতর্ক আছে। আমারও আছে। তাঁকে দলে আনার ক্ষেত্রে একটা যুক্তি থাকতে পারে।’’ এর সঙ্গেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের সময় দিলীপের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বাবুল বলেন, ‘‘কিন্তু কয়লা মাফিয়ারা দলে যোগদান করছে, আর আমি জানতেই পারছি না। দিলীপদা যোগ দেওয়াচ্ছেন, জেলা সভাপতি যোগ দেওয়াচ্ছে। আমি খোলাখুলি তার বিরোধিতা করেছি। আজকে তারা কোথায়? সেই ওয়াশিং মেশিনগুলো যাঁরা চালিয়েছিলেন, যাঁরা ইলেকট্রিক প্লাগে লাগিয়েছিলেন, আজকে তাঁরা কোথায়? তাঁদের আমি দেখতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy