রেশন দোকানের সামনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
ভোর থেকে রেশন নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন উপভোক্তারা। কিন্তু বেলা সাড়ে ১০টার পরেও খোলেনি দোকান। দেখা মেলেনি রেশন ডিলারেরও। এর পরেই ক্ষোভপ্রকাশ করেন উপভোক্তারা। পরে পুরসভার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ডিলারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন উপভোক্তাদের একাংশ। বুধবার কুলটির বেলরুইয়ের ঘটনা।
এ দিন আসানসোল পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেলরুই-সহ নানা এলাকার উপভোক্তারা অভিযোগ করেন, প্রশাসন প্রতিদিন রেশন দোকান খোলার নির্দেশ দিলেও, বাস্তবে তা হচ্ছে না। রেশন সামগ্রী কম দেওয়া হচ্ছে। কার্ডহীন গ্রাহকদের কুপনের মাধ্যমে রেশন দেওয়ার কথা থাকলেও, তা-ও হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম মণ্ডলের অভিযোগ, “সপ্তাহে মাত্র তিন দিন দোকান খোলা হচ্ছে। রেশন দোকান থেকে পাওয়া সামগ্রী বাইরে ওজন করে দেখা যাচ্ছে, কিলো প্রতি আড়াইশো থেকে তিনশো গ্রাম জিনিস কম রয়েছে।’’
এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়র তবসসুম আরা। তিনি ডিলারকে ফোনে ডেকে পাঠিয়ে দোকান খোলান। শুরু হয় সামগ্রী বিলি। ডেপুটি মেয়র বলেন, “ওই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ওঠা কিছু অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। আমরা খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দফতরে এ সব জানিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আর্জি জানাব।’’ ডেপুটি মেয়রের দাবি, ওই রেশন ডিলার কার্ডহীন উপভোক্তাদের তালিকা দোকানের বাইরে ঝুলিয়ে রাখেননি। তবে ওই ডিলার দাবি করেছেন, “কোথাও কোনও অনিয়ম হয়নি। সরকারি নিয়ম মেনেই সব পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’
এ দিকে, কুলটির এলসি মোড়েও এক রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে নানা বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন উপভোক্তাদের একাংশ। সেখানে সমস্যা মেটাতে হস্তক্ষেপ করেছেন খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিকেরা।
অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, “যাঁদের কার্ড আছে ও যাঁদের নেই, তাঁরা প্রত্যেকেই রেশন পাবেন। সপ্তাহের প্রতিদিনই রেশন দোকান খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিকেরা ‘রেশন-অনিয়ম’ দেখলে দফতরে সরাসরি অভিযোগ জানানোর আর্জি জানিয়েছেন। আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “পুরসভা এলাকায় রেশন সামগ্রী বণ্টনে বেনিয়ম হলে স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানান। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy