আসানসোলে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশের এই সব জমি নিয়ে বিবাদ চলছে বলে অভিযোগ। ছবি: পাপন চৌধুরী।
১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে গুলি-কাণ্ডে আরও একটি অভিযোগ দায়ের হল মঙ্গলবার। যাঁর উপরে সোমবার হামলা হয়েছিল, সেই অভিযোগকারী দীনেশ বাউড়ির বিরুদ্ধেই আসানসোল উত্তর থানায় এ বার অবৈধ ভাবে অস্ত্র রাখা ও জমি দখলের অভিযোগ করেছেন আসানসোলের লোয়ার কুমারপুর অঞ্চলের এক ব্যক্তি। পুলিশের দাবি, জমি বিবাদকে কেন্দ্র করেই গোলমালের সূত্রপাত, গুলি-কাণ্ডে ধৃতদের জেরা করে প্রাথমিক ভাবে তা জানা গিয়েছে।
সোমবার দুপুরে চন্দ্রচূড় মন্দির লাগোয়া ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে স্থানীয় রঘুনাথবাটি গ্রামের বাসিন্দা দীনেশ গড়াইয়ের গাড়ি তাক করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। দীনেশ থানায় তাঁর গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে তল্লাশি চালিয়ে
সোমবার রাতে চার জনকে ধরে পুলিশ। ধৃতেরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সেই দীনেশের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন লোয়ার কুমারপুরের বাসিন্দা অরুণ বাউড়ি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, দীনেশ বিস্তীর্ণ এলাকায় জমি দখল করে চলেছেন। প্রতিবাদ করলেই অস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন। অরুণের অভিযোগ, “সোমবার ঘটনাস্থলের কাছে জমি সমতলের কাজ করছিলাম। তখন তোলা চেয়ে হুমকি দেন দীনেশ। মারধরও করা হয়।” দীনেশের অবশ্য দাবি, “সবই মিথ্যা অভিযোগ। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়কে ছ’লেনের কাজ শুরু হতেই আশপাশের এলাকায় জমির দাম কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, আসানসোল ডিভিশনের উপরে ‘ফ্রেট করিডরের’ কাজ চলায়, এই শিল্পাঞ্চলের বাণিজ্যিক গুরুত্বও বেড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই পরিস্থিতিতে জাতীয় সড়ক লাগোয়া দু’পাশের জমি মূল লক্ষ্য হয়ে উঠেছে জমি মাফিয়াদের কাছে। অর্থ ও লোকবল কাজে লাগিয়ে বিঘার পর বিঘা জমি দখলের চেষ্টায় নেমেছে তারা। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এর জেরে এলাকা অশান্ত হচ্ছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের প্রাথমিক অনুমান, সোমবারের ঘটনাও জমির বিবাদকে কেন্দ্র করেই ঘটেছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, এলাকার একটি পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে প্রথম বিবাদ শুরু হয়। পরে পুকুর লাগোয়া আশপাশের জমিও দখল করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সোমবারের ঘটনার পরে পুলিশ এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে বলে জানান কমিশনারেটের কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy