খাবারের মান নিয়ে তো অভিযোগ রয়েছেই। —প্রতীকী চিত্র।
কোনও স্কুলে ঢালাও চাল চুরির অভিযোগ, কোথাও খোলা বাজারে চাল ‘বিক্রি’। আবার অনেক ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের প্রাপ্য ডিম তাদের না দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর খাবারের মান নিয়ে তো অভিযোগ রয়েছেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যৌথ ভাবে স্কুলে মিড-ডে মিল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পরিপূরক পুষ্টিকর খাবারে নজরদারি শুরু করেছেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশ আধিকারিকেরা।
কোনও খবর না দিয়ে হঠাৎ করেই তাঁরা হানা দেবেন বিভিন্ন স্কুলে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, স্কুলের খাবার নিয়ে নিয়মিত অভিযোগ পাচ্ছিলেন জেলাশাসক আয়েষা রানি এ। অনেক স্কুল বা অঙ্গনওয়াড়ি ঠিক মতো চলছিল না বলেও অভিযোগ। সেই কারণেই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার যৌথ ভাবে নজরদার দল তৈরি করে পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেন। জেলাশাসক বলেন, “এডিএম, এসডিও, বিডিওদের স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ির উপরে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিদর্শনের পরে রিপোর্টচাওয়া হয়েছে।”
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সুপার সায়ক দাস প্রতিটি ওসিকে একটি বার্তায় জানিয়েছেন, প্রত্যেক দিন স্কুল ও আইসিডিএস কেন্দ্রে গিয়ে মিড-ডে মিল বা পরিপূরক পুষ্টিকর খাবার পরিদর্শন করতে হবে। সপ্তাহের শেষে বিস্তারিত রিপোর্ট ডিআইবিতে পাঠাতে হবে। পুলিশ সুপার বলেন, “প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ ভাবেই পরিদর্শন করা হচ্ছে।”
বুধবার পরিদর্শনের প্রথম দিন মেমারির পাহাড়হাটি গোলাপমনি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন এসডিও, এসডিপিওরা (বর্ধমান দক্ষিণ)। খাবারের মান ছাড়াও পাতে কী দেওয়া হচ্ছে, রান্নার জায়গা পরিচ্ছন্ন কি না, বিধি মেনে রাঁধুনিরা রান্না করছেন কি না দেখেন তাঁরা। রায়না থানার পুলিশও বেশ কয়েকটি স্কুল পরিদর্শন করে কী ভাবে খাবার তৈরি করা হয়েছে, রাঁধুনিদের সঙ্গে কথা বলে তা নথিভুক্ত করেন। ওই দলে থাকা এক আধিকারিক বলেন, “প্রতিটি স্কুলে বোর্ডে কতজন ছাত্রছাত্রী দুপুরের খাবার খাবে, সেটা লেখা থাকে। যতজন ছাত্রছাত্রীর উল্লেখ থাকছে, সবাই মিড-ডে মিল খাচ্ছে কি না, সেটাও আমরা পরীক্ষা করে দেখছি।” এ ছাড়াও চাল চুরি, ডিম নিয়ে যাওয়ার মতো কোনও অভিযোগ উঠলে তৎক্ষণাৎ কর্তৃপক্ষকে জানানোর নির্দেশ রয়েছে।
বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী-সহায়িকাদের দাবি, পরিদর্শন নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু যে টাকায় ছাত্রছাত্রীদের মুখে গ্রাস তুলে দিতে হয়, তা ঠিক ভাবে সম্ভব কি না, সেটাও প্রশাসন ভেবে দেখুক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy