কমেছে বিক্রিবাটা, বর্ধমানে দাবি বিক্রেতাদের। নিজস্ব চিত্র।
আফগানিস্তানে অশান্তির আঁচ পড়েছে শহরে শুকনো ফলের বাজারে। এমনটাই দাবি বর্ধমানের খুচরো ও পাইকারদের একাংশের। তাঁরা জানাচ্ছেন, আফগানিস্তানে অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় খেজুর, কিসমিস, কাজু, পেস্তা, আমন্ড ও কাঠবাদামের মতো শুকনো ফলের সরবরাহ কমেছে। ফলে, বাড়ছে দাম। দাম বাড়ায়, ক্রেতা পেতে সমস্যা হচ্ছে।
বর্ধমান শহরের এক ফল বিক্রেতার কথায়, ‘‘সপ্তাহ তিনেক আগে থেকে সরবরাহ কমে যায়। এখন পাইকারি দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে গিয়েছে।’’
চলতি মাসের শুরুতে আফগানিস্তানে তালিবানি হামলা তীব্র হয়। প্রভাব পড়ে ব্যবসায়। বর্ধমানের বাজারে যে সব শুকনো ফল আসে, সেগুলির অনেকটাই আফগানিস্তান থেকে আমদানি করা হয়। পাইকারদের থেকে কিনে সে ফল বাজারে আনেন খুচরো কারবারিরা। তবে কিছু শুকনো ফল অন্য জায়গা থেকেও আসে। শুকনো ফলের পাইকারি ব্যবসায়ী রাজ শর্মা বলেন, ‘‘ড্রাই ফ্রুট মূলত আমদানি হয় আফগানিস্তান থেকে। আমরা কলকাতায় মহাজনের কাছ থেকে মাল কিনি। আমদানি কম হওয়ায় বেশি টাকায় মাল কিনতে হচ্ছে। সব শুকনো ফলের দাম ১০-২০ শতাংশ বেড়েছে।’’ আর এক পাইকার সতীশ শর্মা বলেন, ‘‘আফগানিস্তানে অস্থিরতার জন্য ড্রাই ফুট আমদানি হচ্ছে না। দাম বাড়ছে সে সব শুকনো ফলের। খরিদ্দার মিলছে না।’’
ব্যবসায়ীদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঠবাদাম আমদানি হয় মূলত আফগানিস্তান থেকে। সে দেশে অস্থিরতার জেরে কাঠবাদাম আমদানি প্রায় বন্ধ। ফলে, তিন সপ্তাহের ব্যবধানে বর্ধমান শহরের বাজারে কাঠবাদামের দাম প্রতি কেজিতে ৬৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১,০৫০ টাকা। বর্ধমান তেঁতুলতলা বাজারের ব্যবসায়ী রতন সোনকার বলেন, ‘‘কাঠবাদামের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায়, বিক্রি প্রায় নেই বললেই চলে।’’ একই দাবি বর্ধমান স্টেশন ও পুলিশ লাইন বাজারের বিক্রেতাদেরও।
রানিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ত্রিভূবন ঠাকুর বলেন, ‘‘কাঠবাদামের পাশাপাশি পেস্তা, কাজু, খেজুর-সহ অন্য ড্রাই ফুট-এর দামও গড়ে ১০-২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আফগানিস্তান থেকে আমদানি কম হওয়ার কারণেই বেড়েছে দাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy