Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
HS Examination

HS Exam: উচ্চ মাধ্যমিকে একই স্কুলের ১৩৭ জন পরীক্ষার্থীর ফল আসেনি সালানপুরে, বিক্ষোভ

অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য ওই ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ক্ষোভ সালানপুরে।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ক্ষোভ সালানপুরে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২১ ১৬:৫০
Share: Save:

স্কুলের ২৫৮ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে ‘অকৃতকার্য’ ১৩৭! কোভিড পরিস্থিতিতে উচ্চ মাধ্যমিকে রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থী পাশ করলেও ‘উল্টো ছবি’ আসানসোলের সালানপুরে। আসলে সেখানকার আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশন স্কুলের ১৩৭ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ফলই আসেনি এখনও।

অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য ওই ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এরই জেরে শুক্রবার স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরা। পরিস্থিতি সামলাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামাতে হয়।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবার পরেও যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশনর ১৩৭ জনের পরীক্ষার্থীর ফল না আসায় আগেই বিক্ষোভ হয়েছিল স্কুল চত্বরে। সে দিন প্রধান শিক্ষক জানান, তাঁরা সব ছাত্র-ছাত্রীর ফর্ম ঠিক সময়ে জমা করেছেন উচ্চ মাধ্যমিক সংসদ অফিসে। তাই মার্কশিট না আসার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাসও পেয়েছেন। সেই আশ্বাসে পরীক্ষার্থীরা ফিরে যান।

কিন্তু মার্কশিট না পাওয়ায় সোমবার পরীক্ষার্থীরা সোমবার ফের স্কুলে যান এবং তাদের আবার আশ্বাস দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। এক পরীক্ষার্থীর কথায়, ‘‘২৭ জুলাই নিশ্চিত হয়ে যাই, আমাদের তথ্য সংসদে জমা দেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও প্রথমদিকে আমরা সকলেই ভেবেছিলাম সংসদের ভুলেই মার্কশিট পাচ্ছি না।’’ তাঁর অভিযোগ, পরীক্ষার্থীদের কোনও তথ্যই স্কুল কর্তৃপক্ষ জমা দেননি ফলে অনলাইনেও রেজাল্টই দেখা যায়নি।

এই পরিস্থিতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, কোনও ভাবে সংসদ থেকে ১৩৭ জনের ফল আনার ব্যবস্থা করা। কিন্তু অস্বস্তিজনক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য স্কুলের পরিবর্তে সেই আলোচনা আছড়া পঞ্চায়েত দফতরে রাখা হয়। সেখানে স্কুল প্রধান শিক্ষক নিখিল দত্ত, স্কুল এসআই পাপিয়া মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক প্রতিনিধি ভোলা সিং, সালানপুর ব্লক যুগ্ম আধিকারিক অরুণাভ মণ্ডল, স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্য গৌরাঙ্গ তিওয়ারি, পঞ্চায়েত উপপ্রধান হরেরাম তেওয়ারি-সহ স্কুলের অন্য শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের খবর পেয়ে স্কুলে জমায়েত হন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

এই আলোচনা থেকেই উঠে আসে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা সচিব, শিক্ষামন্ত্রী-সহ নানা জায়গায় দরবার করা হয়েছে। কিন্তু সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস স্কুলকে জানিয়ে দিয়েছেন স্কুল থেকে কোনও তথ্য না আসায় তাঁদের পক্ষে আর কিছু করা সম্ভব নয়। সংসদের এই অবস্থানের কথা জানার পর উপস্থিতি পরীক্ষার্থীরা বুঝতে পারেন, মার্কশিট পাওয়ার আর কোনও আশা নেই। এর পরই দফায় দফায় বিক্ষোভ চলছে এলাকা জুড়ে। যার রেশ ছিল শুক্রবারও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy