Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Coronavirus

রিপোর্ট না মেলায় আটকে থাকছে দেহ, ক্ষুব্ধ পরিজন

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও রোগীর মৃত্যু হলে, যদি সন্দেহজনক কিছু আঁচ করেন ডাক্তারেরা, সে ক্ষেত্রে দেহ মর্গে রেখে তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সুপ্রকাশ চৌধুরী
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২০ ০৭:৩২
Share: Save:

লালারসের নমুনা পরীক্ষা কী ভাবে বাড়ানো যায়, সে নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের কর্তারা। আবার করোনার জন্য নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিজনেদের। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আটকে থাকা মৃতের পরিজনেরা সে জন্য বেশি সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠছে।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও রোগীর মৃত্যু হলে, যদি সন্দেহজনক কিছু আঁচ করেন ডাক্তারেরা, সে ক্ষেত্রে দেহ মর্গে রেখে তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। যদি রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসে, তা হলে পরিজনদের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেক মৃতের পরিবারের দাবি, এর জেরে মৃত্যুর তিন-চার দিন পরে দেহ পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন রোগীর পরিজন হাসপাতালের সুপারের অফিসে গিয়ে দেহ না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।

রায়নার বাসিন্দা শেখ সাইদুল, মনির মণ্ডলেরা মঙ্গলবার দাবি করেন, রবিবার স্ট্রোক হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের এক পরিজনের। ভর্তির সময়েই রোগীর লালারসের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মৃত্যুর পরেও সেই রিপোর্ট না আসায় দেহ মর্গে আটকে রাখা হয়েছে। কবে দেহ হাতে পাওয়া যাবে, তা জানতে প্রতিদিন হাসপাতালে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। একই সমস্যার কথা জানান বর্ধমান শহরের বাদামতলা কচিপুকুরের স্বপন সূত্রধর। তিনিও দাবি করেন, গত শুক্রবার তাঁদের রোগীর মৃত্যু হলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত দেহ হাতে মেলেনি। শহরের লস্করদিঘির শেখ ইসমাইলেরও অভিযোগ, তিন দিন ধরে তাঁরা পরিজনের দেহ না পেয়ে হাসপাতালে চক্কর কাটছেন।

কেন এই সমস্যা? বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, নমুনা পরীক্ষা করাতে সময় লাগছে, সে জন্যই এই সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার কুণালকান্তি দে জানান, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রো বায়োলোজি বিভাগ গড়ে সাড়ে সাতশো জনের নমুনা সংগ্রহ করতে পারে। প্রতিদিন এই হাসপাতালেই প্রায় আড়াইশো জনের নমুনা সংগ্রহ করতে হচ্ছে এখন। এ ছাড়া, বর্ধমানের বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রচুর নমুনা পাঠানো হচ্ছে প্রতিদিন। ফলে, এত নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিতে সময় লাগছে। হাসপাতালের সুপার প্রবীর সেনগুপ্ত জানান, সমস্যা সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Hospitals
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE