সৈয়দ ওমর ফারুক। নিজস্ব চিত্র।
প্রিয় বিষয় আরবি ভাষাশিক্ষা। সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন তাঁর স্মরণশক্তি দেখে স্তম্ভিত হতেন পরিবারের সদস্যেরা। সোমবার হাইমাদ্রাসা পরীক্ষার ফল বেরতে দেখা গেল, মেধা তালিকায় সপ্তম স্থান দখল করেছেন বর্ধমান হাইমাদ্রাসার ছাত্র সৈয়দ ওমর ফারুক। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। ফারুকের কথায়, ‘‘বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চাই। ইচ্ছে রয়েছে ডাক্তার হওয়ার। ডাক্তার হলে মানুষের সেবা করতে পারব।’’
খণ্ডঘোষের বারিশাল গ্রামের বাসিন্দা ফারুকের বাবা সৈয়দ আব্দুল্লাহ বারিশাল হাইস্কুলের আরবি ভাষার শিক্ষক। মা সৈয়দ আসমা সুলতানা ঘরের কাজ সামলান। দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে ফারুক ছোট। দাদা সৈয়দ মহম্মদ জুবের এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে বর্ধমান মিউনিসিপাল হাইস্কুল থেকে। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত বাবার স্কুলেই পড়তেন ফারুক। পাঁচ বছর আগে সপরিবারে বর্ধমানের ভাতছালায় বসবাস শুরু করেন আব্দুল্লাহ। ওমরকে বর্ধমান হাইমাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি করিয়েছিলেন তিনি।
স্থানীয় ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্র হিসেবে ফারুক অন্যদের থেকে অনেকটাই আলাদা। ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করেন। হাইমাদ্রাসা পরীক্ষায় ৭৬৭ নম্বর পেয়েছেন ফারুক। তার বাবা আব্দুল্লাহ বলেন, ‘‘ছেলের আরবি ভাষায় খুব দক্ষ। ভেবেছিলাম, ওই ভাষা নিয়ে গবেষণা করবে ছেলে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘জোর করে কিছু চাপিয়ে দেব না ওর উপরে। ছেলে যা চায়, তা-ই হবে।’’ একই বক্তব্য ফারুকের মায়েরও।
পরীক্ষায় বাংলায় ৯৪, ইংরাজিতে ৯১, অঙ্কে ১০০, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৬, জীবনবিজ্ঞানে ৯৭, ইতিহাসে ৯৮, ভূগোলে ৯৬, ইসলামিক পরিচয়ে ৯৫ এবং আরবিতে (ঐচ্ছিক বিষয়) ৯০ পেয়েছেন ফারুক। বর্ধমান হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক নওসাদ আলি বলেন, ‘‘অষ্টম শ্রেণি থেকেই পড়াশোনায় ফারুক খুবই ভাল। আশা করেছিলাম, ও ভাল ফল করবে। তা-ই হয়েছে। আমরা খুবই খুশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy