Advertisement
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
Bardhaman Death

সাপে কাটা পড়ুয়ার চিকিৎসা না করিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল স্কুল! কাটোয়ায় গ্রেফতার প্রধানশিক্ষক

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম ইন্দ্রজিৎ মাঝি (১০)। বাঁধপাড়ার বাসিন্দা। বুধবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪ ২০:২৮
Share: Save:

স্কুলের মাঠে খেলার সময় পায়ে কিছু একটা কামড়েছিল পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে। অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় তার পায়ে বরফ, ডেটল লাগিয়ে দিয়েছিলেন শিক্ষকেরা। কিন্তু তার পরেও যন্ত্রণা না কমায় ওই পড়ুয়াকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাড়িতে যাওয়ার পর সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ায় তড়িঘড়ি হাসপাতালেও নিয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার কোশিগ্রামে। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার মৃত ছাত্রের স্কুল কোশিগ্রাম ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো পড়ুয়া ও স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রধানশিক্ষককে ঘেরাও করে চলে বিক্ষোভ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশ সূত্রেই খবর, প্রধানশিক্ষক পূর্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম ইন্দ্রজিৎ মাঝি (১০)। বাঁধপাড়ার বাসিন্দা। বুধবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সে। পরিবারের লোকেরা তাকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ইন্দ্রজিতের বাবা কার্তিক মাঝি বলেন, ‘‘স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে ইন্দ্রজিৎ কিছু খেতে পারেনি। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ বমি করতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। বুধবার হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়।’’ পরে হাসপাতাল সূত্রে খবর মেলে, ওই পড়ুয়াকে সাপে কামড়েছিল।

পরিবারের বক্তব্য, ইন্দ্রজিতের পায়ে কিছু একটা কাম়ড়েছে জেনেও কিছু করেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা না করে ক্ষতস্থানে শুধু ডেটল লাগিয়ে দায় সারেন তাঁরা। এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার স্কুলে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলে। অভিযোগ, তাঁর ঘরে ভাঙচুরও করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে কাটোয়া থানার আইসি নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন পূর্ণেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাটা অত্যন্ত মর্মান্তিক। কিন্তু এতে আমাদের কিছু করার ছিল না। ওই পড়ুয়াকে কী কামড়েছে, সেটা আমাদের কেউ বলেইনি। আজ পরিকল্পিত ভাবে আমাকে আটকে রাখা হয়েছিল। পুলিশ না এলে আমার প্রাণনাশ হতে পারত।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Bardhaman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy