রেশন কার্ড স্থানান্তরিত করার জন্য ৬০ টাকা দাবি করেছিল এক তৃণমূল কর্মী। তা নিয়ে বচসা, সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। শুক্রবার রাতে বর্ধমানের মালকিতা গ্রামের ঘটনা। ঘটনায় নাম জড়াল বর্ধমান ১ ব্লকের তৃণমূল সভানেত্রী কাকলি তা গুপ্তেরও। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি আয়ত্বে আনতে গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা তথা খেতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তরুণ দাসের অভিযোগ, “একদমই গ্রাম্য বিবাদকে ঘিরে ব্লক সভানেত্রীর মোটরবাইক-বাহিনী শুক্রবার রাতে গ্রামে ঢুকে তান্ডব চালায়। আমাদের গ্রামে ‘কারুজ’ শিল্প প্রতিষ্ঠানকে নষ্ট করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। গোষ্ঠী-রাজনীতিতে মদত দিচ্ছি না বলেও এই হামলা।” শনিবার সকালে খেতিয়া থেকে লোকজন এসে বর্ধমান-কাটোয়া রোডের কামনাড়ায় জড়ো হন। সেই খবর পেয়ে মালিতাড়া গ্রামের তৃণমূল কর্মীরা পাল্টা হামলা চালালে অশোক দত্ত নামে এক জন জখম হয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি বলেন, “অসমাজিক কাজের প্রতিবাদ করার জন্যেই আমাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে।” আহতদের অভিযোগ, ওই উপপ্রধানের নেতৃত্বেই হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ এসে উদ্ধার না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হত।
যদিও ব্লক সভানেত্রী গোষ্ঠীর লোকেদের বক্তব্য, ‘কারুজ’ শিল্প প্রতিষ্ঠানের ভিতর অসামাজিক কাজকর্ম চলছে। সে খবর পেয়ে স্থানীয়রা সেখানে যেতেই উত্তেজনা তৈরি হয়। কাকলিদেবীর কথায়, “অসামাজিক কাজ বন্ধ করতে গিয়ে কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন।” যদিই কাকলিদেবীদের দাবি মানতে নারাজ তরুণবাবু। তাঁর কথায়, “আমি এক সময় কাকলিদেবীর ছায়াসঙ্গী ছিলাম। সেখান থেকে সরে দলের প্রবীণ নেতা দেবনারায়ণ গুহকে রাজনৈতিক অভিভাবক মনে করায় আমার নামে বদনাম ছড়ানো হচ্ছে।” দেবনারায়ণবাবুর কথায়, “পুরোটাই গ্রাম্য বিবাদ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy