বোরহাটের পুজোয়। নিজস্ব চিত্র
করোনা-সংক্রমণ রুখতে ‘মাস্ক’ ব্যবহার করা জরুরি। বারবার তা প্রচার করা সত্ত্বেও নাগরিকদের একাংশের মধ্যে সেই সচেতনতা আসছে না বলে অভিযোগ পুলিশ-প্রশাসনের কর্মী-আধিকারিকদের অনেকের। সচেতনতার সে বার্তা দিতে এ বার গণেশ পুজোয় মূর্তির মুখে ‘মাস্ক’ পরালেন পুজো উদ্যোক্তারা। বর্ধমান শহরে মূর্তির হাতেও ঝোলানো হল ‘মাস্ক’।
গত কয়েকবছর ধরেই বর্ধমান শহরে গণেশ চতুর্থী পালনের চল বেড়েছে। তবে করোনা-পরিস্থিতিতে এ বার পুজোর আয়োজন কিছুটা কম। শহরের বোরহাটে এ দিন হাতেগোনা কয়েকজনকে নিয়ে পুজোর আয়োজন হয় শ্যামসেবা মণ্ডলের মণ্ডপে। উদ্যোক্তারা জানান, উপস্থিত সকলের ‘মাস্ক’ পরা-সহ যাবতীয় স্বাস্থ্য-বিধি মানা ছিল বাধ্যতামূলক। গণেশের শুঁড়েও ‘মাস্ক’ পরানো হয়। ডান হাতে ফুলের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় আরও একটি ‘মাস্ক’। উদ্যোক্তাদের দাবি, সাধারণ মানুষের মধ্যে ‘মাস্ক’ ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্যই এই ভাবনা। আয়োজকদের তরফে সীতারাম সিংহ, দিলীপ গোয়েঙ্কারা বলেন, ‘‘করোনা থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় ‘মাস্ক’ ব্যবহার। বহু মানুষ তা মেনে চললেও এখনও কিছু সংখ্যক নাগরিক এ বিষয়ে উদাসীন। তাই সকলকে সর্তক করতে প্রতিমার মুখেও ‘মাস্ক’ পরানো হয়েছে।’’
এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বর্ধমান পুরসভার সচিব জয়রঞ্জন সেন। তিনি বলেন, ‘‘পুজো, উৎসব, অনুষ্ঠানে এক সঙ্গে অনেককে বার্তা দেওয়া যায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পুজো উদ্যোক্তারা যে ভাবে ‘মাস্ক’ ব্যবহারের আর্জি জানিয়েছেন, তা প্রশংসার যোগ্য।’’ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার প্রবীর সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিক, চিকিৎসকেরা বার্তা দিচ্ছেন ‘মাস্ক’ ব্যবহারের। গণপতির মুখেও ‘মাস্ক’। এ বার মানুষ যদি শোনেন, তা হলেই ভাল হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy