পুলিশ লাইনে মৃত পুলিশে কর্মীদের দেহ ঘিরে ভিড়। নিজস্ব চিত্র
কাজ শেষে প্রায় মাঝ রাতে একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন চার পুলিশ-গাড়ি চালক। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপর মেমারির পালসিট উড়ালপুলের কাছে লরির সঙ্গে ধাক্কায় গাড়িটি তুবড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিন জন। পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও এক জনের। চার জনেই বর্ধমান পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।
সোমবার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রবিবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, লরিটিকে আটক করা হয়েছে। গাড়ির চালকের খোঁজ চলছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃতেরা হলেন বর্ধমান শহরের বিধানপল্লির বাদল সরকার (৪০), হুগলির গোঘাটের শ্যামবাটির বিশ্বজিৎ সামুই (৫০), উত্তর চব্বিশ পরগণার টিটাগড়ের শান্তিনগরের অনুপকুমার বালা (৪২) ও হুগলির আরামবাগের প্রবীরকুমার হাটি (৫২)। অনুপবাবুর মৃত্যু হয় হাসপাতালে। জেলা পুলিশের দাবি, একটি যাত্রিবাহী গাড়িতে মেমারি যাচ্ছিলেন ওই চার জন। পালসিট উড়ালপুলের কাছে বালিবোঝাই একটি লরি আচমকা সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে। পিছনে থাকা পুলিশ কর্মীদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ সামলাতে না পেরে সজোরে ধাক্কা মারে সেটিতে। পুলিশ কর্মীদের লাল রঙের গাড়ির সামনের অংশ পুরো দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে।
এ দিন বেলা সওয়া ১০টা নাগাদ ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) প্রিয়ব্রত রায়। গাড়ি দুটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষাও করেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, মেমারি থানায় ওই লরি চালকের বিরুদ্ধে নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে গাড়ি চালানো ও অসতর্কতার কারণে চার জনের মৃত্যু ঘটানোর মামলাও রুজু করা হয়েছে।
যদিও পুলিশের এই দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত নন ওই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অন্য গাড়ির চালকেরা। তাঁদের দাবি, লরির সামনের অংশও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে হতে পারে মুখোমুখি ধাক্কা লেগেছে। পুলিশের কর্তারা বলেন, ‘‘ঘটনার পরম্পরায় মামলা রুজু করা হয়েছে। লরি চালক গ্রেফতার হলে ঘটনা বোঝা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy