উদ্ধার বন্দুক ও গুলি। নিজস্ব চিত্র
এলাকায় প্রায়ই সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে কিছু লোকজনকে, অভিযোগ করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রবিবার রাতে নিয়ামতপুরে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বড় কোনও অপরাধ ঘটানোর মতলবেই অণ্ডাল ও দুর্গাপুরের বাসিন্দা ওই চার জন নিয়ামতপুরে জড়ো হয়েছিল বলে মনে করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছু দিন ধরেই খবর মিলছিল, নিয়ামতপুর অঞ্চলে সন্দেহজনক ভাবে কিছু লোকজনকে যাতায়াত করতে দেখা যাচ্ছে ইদানীং। সন্ধ্যা নামার পরে এই বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা আতঙ্কিত বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের। রবিবার রাতে পুলিশকে এলাকারই কিছু বাসিন্দা খবর দেন, নিয়ামতপুরের শেষ প্রান্তে সালকানালি অঞ্চলে চার জন বহিরাগতকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে।
পুলিশ জানায়, এর পরেই সালকানালি-সহ আশপাশের এলাকায় টানা তল্লাশি চালানো শুরু হয়। পুলিশ পৌঁছতেই চার জন সালানকানালির শেষ প্রান্তে একটি জঙ্গলে গা-ঢাকা দেয়। কিন্তু শেষে তারা ধরা পড়ে যায়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের মধ্যে আমন সিংহ দুর্গাপুরের চণ্ডীস্থান, সুশীল পাসোয়ান ও ঝন্টু পাসোয়ান অণ্ডালের রেল কলোনি অঞ্চল ও সুনীলকুমার মোদী অণ্ডাল দক্ষিণ বাজার হাসপাতাল কলোনির বাসিন্দা। ঝন্টুর থেকে ৭ এমএম পিস্তল ও সাত রাউন্ড কার্তুজ মিলেছে, জানায় পুলিশ।
পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জেরায় ধৃতেরা তাদের কাছে স্বীকার করেছে, নিয়ামতপুর, কুলটি-সহ আশপাশের এলাকায় বড় অপরাধ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযানে নামায় তা ভেস্তে গিয়েছে। ধৃতেরা আগে কোথাও কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে তদন্তকারীরা জানান। সোমবার আসানসোল আদালতে তোলা হলে ধৃতদের সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
রবিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ নিয়ামতপুর লাগোয়া ধেমোমেন মোড়ের কাছে চিনাকুড়ির এক ব্যবসায়ীর টাকার ব্যাগ ছিনতাই করে পালায় দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার সঙ্গে সালকানালি থেকে ধৃতদের কোনও যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy