অভিযুক্ত বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ নিজস্ব চিত্র।
স্বামীর মৃত্যুর জন্য তৃণমূল বিধায়ককে দায়ী করে মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানালেন তৃণমূলেরই প্রাক্তন কাউন্সিলর। পূর্ব বর্ধমানের কালনা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর কনিকা রাজবংশী তাঁর স্বামী সোমনাথ রাজবংশীর মৃত্যু নিয়ে এমন অভিযোগ তোলায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন।
কালনা পুরসভার শ্যামগঞ্জ পাড়ার বাসিন্দা কনিকা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর। সোমবার কালনার মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তিনি বলেন, ‘‘২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি-র প্রাপ্ত ভোট তৃণমূলের থেকে বেশি হয়। দলের ফল খারাপ হওয়ার জন্য আমাকে ও আমার স্বামীকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া শুরু হয়। গত ৫ জুন কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ আমার স্বামীকে স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে পাঠান। সেখানে তিনি সবার সামনে আমার স্বামীকে অপমান করেন। তাঁকে বিজেপি-র দালাল ও বিজেপি-র কাছ থেকে টাকা খেয়ে দলকে হারানোর অপবাদও দেওয়া হয়। বাড়িতে লোকজন পাঠিয়ে ভাঙচুর চালানো হবে হুমকি দেওয়া হয়।’’
কনিকার অভিযোগ, বিধায়কের কাছ থেকে এমন দুর্ব্যবহার পেয়ে ভয়ে আতঙ্কে তাঁর স্বামী ৭ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হন। চিকিৎসার জন্যে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পর দিন সেখানেই সোমনাথ মারা যান। মহকুমাশাসককে কনিকা অভিযোগে লিখেছেন, হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের কারণেই তাঁর স্বামী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর জন্য বিধায়ক দেবপ্রসাদই দায়ী। কনিকা বলেন, এই ঘটনা নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীরও দ্বারস্থ হবেন।
কালনার বিধায়ক যদিও কনিকার আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। দেবপ্রসাদ বলেন,“সোমনাথ বেশ কয়েক বছর ধরেই হৃদযন্ত্রের রোগে ভুগছিলেন। আমরা তাঁর চিকিৎসার জন্যে দলীয় ভাবে সাহায্যও করেছিলাম। আমাকে ও তৃণমূলকে বদনাম করার জন্যে এই সব মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। এর পিছনে বিজেপি-র ইন্ধন রয়েছে।’’
অভিযোগের বিষয়ে কালনার মহকুমাশাসক সুমন সৌরভ মহান্তি জানিয়েছেন, অভিযোগ পত্র এখনও তিনি হাতে পাননি। অভিযোগ পত্র খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy