এর আগে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় প্রথম ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ম্যাচ না খেলেই উঠে গিয়েছিল বিনোদ়িমাধব সামন্ত কোচিং ক্লাব। পরে জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে চিঠি লিখে ক্রিকেট সচিবের ভূমিকা ও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁদের সঙ্গে লিগ থেকে নাম তুলে নিয়েছিল বড়শুল ইয়ং মেন্স অ্যাসোসিয়েশনও। এ বার সেই রাস্তায় হাঁটল আরও কয়েকটি দল। তার জেরে কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ল বর্ধমান জেলা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালিত প্রথম ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। মঙ্গলবার ক্রিকেট সাব কমিটির বৈঠক শেষে আপাতত প্রথম ডিভিশন লিগের খেলা বন্ধ রেখে দ্রুত কার্যকরী সমিতির বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিল বর্ধমান জেলা ক্রীড়া সংস্থা। সেই বৈঠকের পরে ফের খেলা শুরু নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার। সে দিন বিনোদিমাধব সামন্ত কোচিং ক্লাব ও বিবেকানন্দ সঙ্ঘের মধ্যে খেলার সময়ে ক্যাচ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। বিনোদিমাধব সামন্ত কোচিং ক্লাবের দাবি ছিল ক্যাচটি বাউন্ডারি লাইন থেকে ধরা হয়েছে। আউটের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ওভার বাউন্ডারি দেওয়ার দাবি জানায় তারা। আম্পায়ার সেই সিদ্ধান্ত না মানায় দল তুলে নেয় বিনোদিমাধব। সোমবার খেলতে আসেনি দিলীপ স্মৃতি সঙ্ঘ ও বড়শুল ইয়ং মেন্স অ্যাসোসিয়েশন। সে দিন সন্ধ্যায় বড়শুলের দলটি ও বিনোদিমাধব ক্লাব জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়ে লিগ থেকে তাদের নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানায়। মঙ্গলবারও প্রথম ডিভিশন লিগের কোনও খেলা হয়নি।
সব মিলিয়ে ছ’টি দল লিগ থেকে নাম তুলে নিয়েছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসে জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট সাব কমিটি। জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট সম্পাদক শিবশঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘দ্রুত কার্যকরী সমিতির বৈঠক করে খেলা শুরু করা হবে।’’
তবে মূলত তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ। দুই দলের জমা পড়া চিঠিতে তাঁর ভূমিকাকে নিরপেক্ষ নয় বলে দাবি করা হয়েছে। তিনি একটি প্রথম ডিভিশন ও একটি দ্বিতীয় ডিভিশন দলের সাজঘরে ম্যাচ চলাকালীন উপস্থিত থাকছেন ও আম্পারদের প্রভাবিত করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। আম্পায়ারদের দায়িত্ব বণ্টন একটি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। রয়েছে একটি ক্লাবকে সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে ক্রীড়াসূচি পরিবর্তনের অভিযোগও। ক্রিকেট সম্পাদকের দাবি, সাব কমিটির বৈঠকে তিনি যা বলার বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’ লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ নেই জেনেই টাকা বাঁচাতে দলগুলি নাম প্রত্যাহার করছে বলেও দাবি তাঁর।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)