Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

সময়ে চিকিৎসা হয়নি, অভিযোগ পরিবারের

যদিও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার প্রবীর সেনগুপ্তের দাবি, ওই মহিলার আঘাত খুবই গুরুতর ছিল। বাঁচার সম্ভাবনাও কম ছিল।

মৃত স্বাগতাদেবী। নিজস্ব চিত্র

মৃত স্বাগতাদেবী। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৪৩
Share: Save:

ভ্যানে করে জরুরি বিভাগ থেকে মর্গের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৃতদেহ। সেই সময়েই পাশের সিটি স্ক্যান বিভাগ থেকে দেওয়া হচ্ছে মৃতার রিপোর্ট। মৃত্যুর দেড় ঘণ্টা পরে ওই রিপোর্ট হাতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন কাটোয়ায় শববাহী ট্রাক্টরের ধাক্কায় মৃত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী স্বাগতা সিংহরায় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই। তাঁর অভিযোগ, রাতেই কাটোয়া হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যালে আনা হয় স্বাগতাদেবীকে, কিন্তু ঠিকমতো চিকিৎসা হয়নি। কোনও সিনিয়র চিকিৎসক স্বাগতাদেবীকে দেখেননি বলেও, দাবি তাঁর।

যদিও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার প্রবীর সেনগুপ্তের দাবি, ওই মহিলার আঘাত খুবই গুরুতর ছিল। বাঁচার সম্ভাবনাও কম ছিল। তবে পরিবারের তরফে যেহেতু মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে, অতএব কমিটি গড়ে তদন্ত করা হবে, দাবি তাঁর।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ১২টা নাগাদ বর্ধমানে ভর্তি করানো হয় স্বাগতাদেবীকে। মঙ্গলবাক দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর থেকেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ জানান তাঁর পরিজনেরা। মৃতার ভাই সম্রাট সিংহরায়ের দাবি, ‘‘সকাল ১০টায় সিটি স্ক্যান করা হয়। দু’ঘণ্টা পরে রিপোর্ট হাতে পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রিপোর্ট মেলে বিকেল ৪টে নাগাদ। ততক্ষণে সব শেষ।’’ সামগ্রিক চিকিৎসা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মৃতার পরিজনেরা। এক আত্মীয় বিশ্বজিৎ মাঝির দাবি, ‘‘সোমবার সারা রাত শুধুমাত্র স্যালাইন এবং অক্সিজেন দিয়ে ফেলে রাখা হয়। প্যারাসিটামল ওষুধ ছাড়া কোনও ওষুধ দেওয়া হয়নি।’’ মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কোনও সিনিয়র ডাক্তারও তাঁকে দেখেননি বলে অভিযোগ পরিবারের।

অন্য বিষয়গুলি:

Death Hearse Van
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy