এলাকায় তদন্তে পুলিশ। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
হাসপাতালের মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদছিলেন মাঝবয়সী ব্যক্তি। আর বলছিলেন, ‘‘মেয়েটাকে এ ভাবে খুন করবে ভাবিনি! পুলিশ যদি একটু শুনত, তাহতে হয়তো বাঁচাতে পারতাম।’’ আসানসোলের ধেমোমেনের বছর সতেরোর ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পরে পুলিশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন তাঁর বাবা।
ধেমোমেন কোলিয়ারির কর্মী ওই ব্যক্তির মেয়ে নিখোঁজ ছিল শনিবার সন্ধ্যা থেকে। তিনি জানান, মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ বাড়িতে আসে পুলিশ। পুলিশকে দেখে তিনি ভেবেছিলেন, হয়তো মেয়েকে খুঁজে বার করেছে তারা। পুলিশ তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে আসে আসানসোল জেলা হাসপাতালে। তখনও তিনি জানতেন না, দেহ শনাক্ত করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁকে। মেয়ের দেহ দেখে ভেঙে পড়েন তিনি। খবর দেন পরিজনদের।
ছাত্রীর দেহ মেলার খবর পেয়েই সকালে হাসপাতালে জড়ো হন আত্মীয়-পরিজন ও পরিচিতেরা। তাঁরা হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভ-বিক্ষোভও জানান। পুলিশের উচ্চ আধিকারিকেরাও পৌঁছন হাসপাতালে। ময়না-তদন্তের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিতে চায় পুলিশ। কিন্তু তাতে রাজি হননি পরিজনেরা। তাঁরা দাবি করেন, অপরাধীরা ধরা না পড়লে দেহ নেবেন না। শেষে তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন এডিসিপি (সেন্ট্রাল) সায়ক দাস। পুলিশের আশ্বাসে বিকেল ৪টা নাগাদ দেহ নেন তাঁরা।
দুঃসংবাদ শোনার পর থেকেই মুষড়ে পড়েছেন ধেমোমেন আবাসন কলোনির বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা প্রেমশঙ্কর দুবে জানান, ছোট থেকে মেয়েটিকে দেখে এসেছেন তাঁরা। সাদাসিধে প্রকৃতির মেয়ে ছিল সে। পড়াশোনার পাশাপাশি ভাল যোগাসনও করত। বাড়ি থেকে বিশেষ বেরোত না। শনিবার থেকে সে নিখোঁজ, পাড়ার অনেকেই জানতেন না।
আপকার গার্ডেনের মতো জায়গা থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারাও। যে ডাস্টবিন থেকে মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়, সেখান থেকে কিছুটা দূরেই রাজ্যের মন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটকের বাড়ি। মঙ্গলবার মলয়বাবুর সঙ্গে ফোনে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তিনি বৈঠকে ব্যস্ত রয়েছেন বলে জানানো হয়। কে বা কারা মেয়েকে খুন করে থাকতে পারে, সে বিষয়ে তাঁরাও অন্ধকারে বলে জানান পরিজনেরা। এডিসিপি (সেন্ট্রাল) সায়ক দাসের আশ্বাস, শীঘ্রই ঘটনার কিনারা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy