ছাইয়ে ঢেকেছে গাছের পাতা। নিজস্ব চিত্র।
বিয়ার প্রস্তুতকারী একটি কারখানার বিরুদ্ধে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছিলেন গ্রামবাসীরা। বুধবার এলাকা পরিদর্শন করলেন প্রশাসনের কর্তারা। বুদবুদের মাড়ো গ্রামে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলার পরে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা জানান, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও আবগারি দফতরকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
পানাগড় শিল্পতালুকের আউশগ্রাম ২ ব্লকের কোটা গ্রামের পাশেই রয়েছে কারখানাটি। অদূরেই রয়েছে বুদবুদের মাড়ো, নতুনগ্রাম-সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই কারখানা থেকে ছাই উড়ে এসে ঘরে ঢুকছে। গাছের পাতা, আঢাকা খাবার ছাইয়ে ঢেকে যাচ্ছে। বাড়ছে শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন সমস্যা। তা ছাড়া কারখানা থেকে ভেসে আসা দুর্গন্ধে গ্রামে টেকা দায় হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ। কারখানার বর্জ্য জল গিয়ে পড়ায় লাগোয়া কৃষিজমির উৎপাদনও কমছে বলে দাবি চাষিদের।
মাড়োর বাসিন্দা তরুণ গোস্বামী বলেন, ‘‘পরিবেশ দূষিত হওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে। পথেঘাটে চোখে ছাই ঢুকে বিপত্তি হচ্ছে।’’ এই গ্রামেরই বাসিন্দা তথা বিজেপি নেতা নরেশ কোনারের দাবি, ‘‘বহু মানুষ চোখের সমস্যায় ভুগছেন। অনেকের বসবাস তুলে দেওয়ার জোগাড় হয়েছে।’’
যদিও কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন না বাসিন্দারা। ভূতনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক গ্রামবাসীর কথায়, ‘‘কল-কারখানার দরকার রয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে যাতে দূষণ না ছড়ায়, সে দিকে প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে।’’ দূষণ রুখতে এলাকাবাসী একটি প্রতিবাদ মঞ্চও তৈরি করেছেন। সেই মঞ্চের তরফে সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিল্প হলে এলাকার অর্থনীতি পাল্টাবে। তবে সে জন্য এলাকার মানুষকে রোগাক্রান্ত করা যাবে না।’’
এ ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে ৩১ জানুয়ারি থেকে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। এ দিন মহকুমাশাসক মাড়ো গ্রামে গেলে এলাকার মানুষজন তাঁর কাছে অভিযোগ করেন, ওই কারখানা থেকে ছড়ানো দূষণের জেরে বহু মানুষ চোখের সমস্যায় ভুগছেন। মহকুমাশাসক আশ্বাস দেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও আবগারি দফতরকে ওই কারখানা পরিদর্শন করতে বলা হয়েছে। সব নিয়ম মানা হচ্ছে কি না, খতিয়ে দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy