দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট। ফাইল চিত্র
উৎপাদনের ক্ষেত্রে ২০২০-র জানুয়ারিতে রেকর্ড গড়েছে কারখানা, এমনই দাবি করেছেন দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) আধিকারিকেরা। প্রায় সব ক’টি বিভাগেই উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য মিলেছে বলেও দাবি। এর জন্য আধিকারিকেরা শ্রমিকদের ধন্যবাদ জানিয়েছে। কিন্তু শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, কারখানার আধুনিকীকরণে দ্রুত পদক্ষেপ না করা হলে এই সাফল্য ভবিষ্যতেও ধরে রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
শনিবার কারখানা পরিদর্শন করেন আইএসপি বার্নপুরের সিইও তথা ডিএসপি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত সিইও এমভি কমলাকর। ডিএসপি-র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বেদবন্ধু রায়ের বক্তব্য, ‘‘কারখানার উৎপাদনের এই সাফল্যের জন্য কর্মী ও আধিকারিকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন সিইও।’’
ডিএসপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কারখানার ‘সিন্টার প্ল্যান্ট’ ও ‘সেকশন মিল’ বিভাগে একশো শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা গিয়েছে। ‘ব্লেন্ড মিক্স’ ও ‘মার্চেন্ট মিল’ বিভাগে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই দুই বিভাগে যথাক্রমে ১০৬ শতাংশ এবং ১০৪ শতাংশ উৎপাদন হয়েছে বলে কারখানার আধিকারিকেরা জানান। তা ছাড়া এক মাসে সবথেকে বেশি বিআরসি (ব্লুম কাম রাউন্ড কাস্টার), মার্চেন্ট মিল, ফিনিশড স্টিল, স্পেশ্যাল স্টিল, ক্রুড স্টিল উৎপাদন হয়েছে জানুয়ারিতে। কারখানার মার্চেন্ট মিল বিভাগে জানুয়ারিতে রেকর্ড মোট প্রায় ৩৩ হাজার ২৫২ টন উৎপাদন হয়েছে। এর আগে সবথেকে বেশি প্রায় ৩৩ হাজার ২১৭ টন উৎপাদন হয়েছিল ২০০৭-র মার্চে।
ডিএসপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জানুয়ারিতেই সবথেকে বেশি প্রায় ২ লক্ষ ৬ হাজার ৫১৫ টন ইস্পাত সরবরাহ করেছে সংস্থা। আগের আর্থিক বছরে প্রায় ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮০০ টন ইস্পাত রফতানি করেছিল ডিএসপি। চলতি আর্থিক বছরের জানুয়ারির মধ্যেই রফতানি করা গিয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ ১৪ হাজার টন ইস্পাত। কারখানা পরিদর্শনের পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিইও ভবিষ্যতে আরও বেশি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কর্মী ও আধিকারিকেরা পূরণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
যদিও এই সাফল্য কত দিন ধরে রাখা যাবে, তা নিয়ে সন্দিহান বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলি। সিটু নেতা সৌরভ দত্তের কথায়, ‘‘ডিএসপি-র আধুনিকীকরণের কোনও কাজ হয়নি। তা সত্ত্বেও উৎপাদনের এই সাফল্য শ্রমিকদের জন্যই সম্ভব হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষকে কারখানার আধুনিকীকরণের বিষয়ে এ বার দ্রুত ভাবনাচিন্তা করা উচিত। না হলে কিন্তু এই সাফল্য ধরে রাখা যাবে না।’’ সিটু নেতৃত্বের এ-ও দাবি, এএসপি-কে কী ভাবে পূর্ণ মাত্রায় ব্যবহার করা যায়, সেটাও ভাবতে হবে। আইএনটিটিইউসি নেতা স্নেহাশিস ঘোষের বক্তব্য, ‘‘কারখানা ক্ষতিতে চলছিল। তাই, কর্তৃপক্ষ যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিলেন, তার থেকেও বেশি কাজ করেছেন শ্রমিকদের। আমরা চাইব, শ্রমিকদের এই কর্মক্ষমতাকে সম্মান জানান আধিকারিকেরাও।’’
ডিএসপি-র আধিকারিকেরা অবশ্য জানান, আধুনিকীকরণের মতো বিষয়ে ‘সেল’-এর সিদ্ধান্ত মতো পদক্ষেপ করবে কারখানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy