প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে দুর্গাপুরের গাঁধী মোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সিটি সেন্টারের সরোজিনী পথের বাসিন্দা শুভজিৎ রায় সম্প্রতি মহকুমাশাসকের (দুর্গাপুর) কাছে দায়ের করা অভিযোগে জানান, তাঁর মা অঞ্জলিদেবী গত ২০ জুন ওই হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির শিকার হয়ে মারা গিয়েছেন।
শুভজিৎবাবু জানিয়েছেন, স্নায়ুর সমস্যায় ভোগা তাঁর মাকে গত ২৯ মে বিকেলে ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অভিযোগ, প্রথম থেকেই হাসপাতালে ঠিকমতো তাঁর চিকিৎসা হয়নি। সুস্থ না হওয়া সত্ত্বেও ১৫ জুন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শুভজিৎবাবুর দাবি, ‘‘হাসপাতাল থেকে বলা হয়, মায়ের শারীরিক অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রাখার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়িতে আনার পরে শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় মাকে ২০ জুন ফের ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে দিনই তাঁর মৃত্যু হয়।’’ মৃত্যু-শংসাপত্রে তাৎক্ষণিক কারণ হিসেবে চিকিৎসকেরা রোগীর রক্তে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এবং অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু (‘হাইপোক্সিক কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’) বলে উল্লেখ করেছেন।
মহকুমাশাসকের কাছে দায়ের করা অভিযোগে তিনি জানান, প্রথম থেকেই হাসপাতালে তাঁর মা চিকিৎসায় ‘গাফিলতির শিকার’ হয়েছেন। হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী, প্রত্যেকেরই মনোভাব ‘দায়সারা’ ধরনের ছিল। করোনা-আবহে হাসপাতালে সংক্রমণ ছড়ানো আটকাতে বিশেষ ব্যবস্থাও নজরে আসেনি বলে শুভজিতের দাবি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘যে কোনও রোগীর ক্ষেত্রেই হাসপাতালে সর্বোচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে। অঞ্জলিদেবীর ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। করোনা- পরিস্থিতিতে সব ধরনের সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।’’ মহকুমাশাসকের কার্যালয় থেকে অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
শুভজিৎবাবু জানান, বিষয়টি তিনি দুর্গাপুর পূর্বের সিপিএম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়কেও লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। বিধায়ক জানান, তিনি ইতিমধ্যেই অভিযোগের তদন্ত করে দেখার আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy