(ঘড়ির কাঁটা অনুযায়ী) পুলিশ বুথের উদ্বোধন আসানসোলে। দুর্গাপুরে ডিএসপি টাউনশিপে মার্কনি দক্ষিণপল্লির পুজো মণ্ডপের বাইরে সুরক্ষা বলয়। ব্যারিকেড করা হয়েছে দোমড়া রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের পুজোয়। থার্মাল গান দিয়ে তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে দুর্গাপুরের বুদ্ধবিহার সর্বজনীনের পুজো মণ্ডপে। নিজস্ব চিত্র।
পুজো মণ্ডপগুলিতে দর্শনার্থীদের ঢোকার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি-সহ বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো ‘জায়ান্ট স্ক্রিন’ বসানোর পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও পুজো দেখার ব্যবস্থা করা-সহ বেশ কিছু প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান আসানসোল, দুর্গাপুর-সহ জেলার বিভিন্ন পুজোকমিটির কর্মকর্তারা। পাশাপাশি, পুলিশ-প্রশাসনও পদক্ষেপ করারকথা জানিয়েছে।
এ দিকে, পুজো কমিটিগুলি আদালতের নির্দেশ মানছে কি না, তা দেখতে মঙ্গলবার থেকে অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে জানান আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুকেশকুমার জৈন। তিনি বলেন, ‘‘আসানসোল, বার্নপুর-সহ কয়েকটি জায়গায় মণ্ডপ ঘুরে দেখা হয়েছে। অনেক জায়গায় নির্দিষ্ট দূরত্বে ব্যারিকেড দেওয়া-সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে কমিটিগুলি। জায়ান্ট স্ক্রিন বসানোর জন্য পুলিশের অনুমতি নিতে বলা হয়েছে। কোর্টের নির্দেশ মানা হচ্ছে কি না, তা দেখতে জেলার সর্বত্র আমরা অভিযান চালাচ্ছি।’’
আদালতের নির্দেশের পরে, এ দিন চিত্তরঞ্জনের ছয়ের পল্লির পুজোর আয়োজকদের তরফে বাপ্পা কুণ্ডু জানান, ব্যারিকেডের বাইরে জায়ান্ট স্ক্রিন থাকবে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে একই ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুলটির একটি বড় পুজো কমিটির উদ্যোক্তা বিপদতারণ দত্তও। আসানসোলের কল্যাণপুরের একটি পুজো পরিচালকমণ্ডলীর কর্ণধার মুনমুন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মণ্ডপ তিন দিক খোলা। তার পরেও মণ্ডপে যাতে কেউ ঢুকতে না পারেন, সে জন্য আদালতের নির্দেশ মেনে মণ্ডপের দশ মিটার আগে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হচ্ছে।’’ পাশাপাশি, আসানসোল বাজার, চিত্তরঞ্জনের বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্যোক্তারা জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় পুজো দেখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
একই ছবি দুর্গাপুরেও। ভিড়িঙ্গির নবারুণ সর্বজনীনের পুজো হচ্ছে খোলা মাঠে। ক্লাব সদস্য সঞ্জয় মহাপাত্র জানান, ব্যারিকেড গড়া হচ্ছে। মেলা, আলোকসজ্জা, কিছুই থাকছে না। বেনাচিতির অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের পুজোতেও হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান ক্লাব সদস্য জয়ন্ত দে। সি-জ়োন বুদ্ধবিহার পুজো কমিটির সম্পাদক সৌগত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নির্দিষ্ট দূরত্বে নো-এন্ট্রি করে দেওয়া হয়েছে। একই মন্তব্য মার্কনি দক্ষিণপল্লি সর্বজনীন পুজো কমিটির তরফে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। দুর্গাপুরের কিছু কিছু পুজো কমিটি জানিয়েছে, এ বার মণ্ডপ খুব ছোট করা হয়েছে। কোথাও তিন দিক খোলা, কোথাও চার দিক খোলা মণ্ডপ করা হয়েছে। তাই এখনও পর্যন্ত ‘জায়ান্ট স্ক্রিন’ করার চিন্তা-ভাবনা নেই।
এ দিকে, মণ্ডপের থেকে ব্যারিকেডের বাইরেও দর্শনার্থীরা যাতে ভিড় না করতে পারেন, সে জন্য আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট কিছু পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে। যেমন, পুলিশ নির্দেশ দিয়েছে, ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে ৫০০টি, বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে এক হাজার সুরক্ষাবলয় আঁকতে হবে। মঙ্গলবার থেকেই সেই কাজ বেশির ভাগ পুজো কমিটিই শুরু করেছে বলেও দাবি।
পুলিশ কমিশনার জানান, করোনা-সচেতনতার প্রচারে জেলা জুড়ে ৭০টি পুলিশ বুথ থাকছে। মঙ্গলবার আসানসোলের বার্নপুর রোডে এমন একটি বুথ উদ্বোধনও করা হয়। শিল্পাঞ্চল জুড়ে সচেতনতামূলক অভিযান চালাতে দু’টি ট্যাবলোরও উদ্বোধন করা হয় এ দিন। বুথগুলি থেকে পুজোর চার দিন প্রায় চার লক্ষ মাস্ক বিলি করা হবে। আদালতের নির্দেশ মতো পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছেন জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy