প্রতীকী ছবি।
করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় দশ মাস ধরে বন্ধ গ্রন্থাগার। ‘লকডাউন’ ও ‘আনলকের’ নানা ধাপ কাটিয়ে অনেক কিছুই স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে গ্রন্থাগার এখনও খোলেনি। বইপ্রেমীদের দাবি, স্বাস্থ্য-বিধি মেনে এ বার গ্রন্থাগার খোলার ব্যবস্থা হোক।
গ্রন্থাগার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলায় গ্রন্থাগারের সংখ্যা প্রায় ১৫০টি। শুধুমাত্র কাটোয়া মহকুমাতেই ৩০টি গ্রন্থাগার রয়েছে। সেগুলিতে হাজার-হাজার পাঠক রয়েছেন। তাঁদের কেউ নিয়মিত বই সংগ্রহ করেন, কেউ গ্রন্থাগারে বসে পড়াশোনা করেন। কাটোয়া মহকুমা গ্রন্থাগারের পরিচালন সমিতির সদস্য তুষার পণ্ডিতের বক্তব্য, ‘‘করোনা স্বাস্থ্য-বিধি মেনে অফিস-আদালত, ট্রেন-বাস সবই অনেকাংশে স্বাভাবিক হয়েছে। অথচ, সরকারি গ্রন্থাগারগুলি খোলার অনুমতি মিলছে না। এর ফলে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বইপ্রেমীরা খুব অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন।সরকারের অবিলম্বে গ্রন্থাগার খোলার বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।”
দীর্ঘদিন ধরে গ্রন্থাগারগুলিতে কোনও কর্মী নিয়োগ হয়নি বলেও অভিযোগ। ফলে, এক জন গ্রন্থাগারিককে একাধিক গ্রন্থাগারের কাজ চলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেমন, কাটোয়া মহকুমা গ্রন্থাগারে চার জন কর্মী থাকার কথা। কিন্তু, গত কয়েক বছর ধরে মাত্র দু’জন কর্মী কাজ চালাতে গিয়ে হিমশিম হচ্ছেন বলে দাবি। তুষারবাবুর দাবি, ‘‘প্রায় এক দশক ধরে গ্রন্থাগারগুলিতে কোনও কর্মী নিয়োগ হয়নি। তার ফলে পরিকাঠামো ভেঙে পড়ছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেই কাজ চালাচ্ছেন কর্মীরা।’’
রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর আশ্বাস, গ্রন্থাগার খোলার ব্যাপারে উদ্যোগ চলছে। তিনি বলেন, ‘‘লকডাউন থেকে রাজ্য জুড়ে সরকারি গ্রন্থাগারগুলি বন্ধ রাখতে হয়েছে। বইপ্রেমীদের কথা ভেবে শীঘ্রই গ্রন্থাগার খোলার বিষয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’ কর্মী কম থাকা প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জায়গায় জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy