মড়াই তৈরি চলছে। নিজস্ব চিত্র
অনেকে পৌষ সংক্রান্তির লক্ষ্মীপুজোর জন্য কেনেন। কেউ কেনেন ঘর সাজানোর জন্য। ইদানীং ছোট মাপের রেডিমেড ধানের মড়াইয়ের চাহিদা বেশ বেড়েছে। তবে এই কাজে যুক্ত শিল্পীদের আক্ষেপ, প্রচারের অভাবে তাঁদের তৈরি ছোট মড়াইয়ের বাজার সে ভাবে বাড়ছে না।
অগ্রহায়ণে নতুন ধান ঘরে ওঠে। পৌষে ভরে থাকে ধানের গোলা। নানা উপাচারে পৌষ সংক্রান্তি পালিত হয় ঘরে ঘরে। হয় পিঠেপুলি, লক্ষ্মীপুজো। ‘আউড়ি-বাউরি’ ও ‘পৌষ আগলানো’র রীতিও চালু রয়েছে অনেক জায়গায়।
ধান বোঝাই গোলাকে কৃষক মহল্লায় লক্ষ্মীদেবী রূপে পুজো করেন। পৌষ সংক্রান্তির সময় ধানের গোলার সামনে দেবীর পুজো হয়। শহরাঞ্চলে থাকা বহু মানুষ তখন লক্ষ্মীদেবীর কৃপালাভের আশায় ঘরে ফিরে পুজো করেন। শহরে বা মফস্সলে কৃষিকাজ কম হয়। তাই ওই অঞ্চলের মানুষজন রেডিমেড ছোট ধানের মড়াইকে লক্ষ্মীদেবী রূপে পুজো করেন। লক্ষ্মীলাভের আশায় অনেকে শিল্পীদের কাছে বরাত দিয়ে মড়াই তৈরি করান।
বর্ধমান শহরের বিভিন্ন দশকর্মার দোকানে দেখা মেলে হাতে তৈরি ছোট মড়াইয়ের। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, লক্ষ্মীর ছবি এবং কুলো দেওয়া মড়াইয়ের দাম (১৬৫ টাকা) সব থেকে বেশি। বাকিগুলির গড় দাম ১১০ টাকা। আরও ছোট মড়াই মেলে ৭০- ৯০ টাকায়। শহরের এক বিক্রেতা সুমন মালাকার বলেন, ‘‘এখন মাঠ থেকে ধান সোজা মান্ডিতে যায়। ঘরে মড়াই রাখার জায়গাও কম। সে কারণে এখন ওই ধরনের ছোট মড়াইয়ের চাহিদা বাড়ছে।’’
এই কাজের সঙ্গে যুক্ত খণ্ডঘোষের মেটেডাঙা গ্রামের রামেশ্বর দালাল বলেন, ‘‘মূলত পৌষ সংক্রান্তির লক্ষ্মীপুজোয় সময়ে ছোট মড়াইয়ের চাহিদা বেশি থাকে। এই ধরনের মড়াইয়ে অল্প পরিমাণ ধান রাখা যায়। তাতে ধান রেখে পুজো হয়।’’
আর এক শিল্পীর আক্ষেপ, ‘‘এই কাজে যুক্ত শিল্পীদের প্রশিক্ষণের তেমন সুযোগ নেই। বাজার বৃদ্ধির চেষ্টাও দেখা যায় না। যদিও এর চাহিদা রয়েছে। অনেকে শখ করেও ছোট মড়াই কেনেন।’’ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, জানিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy