প্রতীকী ছবি।
ধাপে-ধাপে ‘নিউ নর্মাল’-এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরু করেছেন মানুষজন। দুর্গাপুজোর কেনাকাটাও শুরু হয়ে গিয়েছে। এত দিন ধরে ধুঁকতে থাকা রাস্তার ধারের ফাস্ট ফুড সেন্টার হোক বা স্থায়ী রেস্তরাঁ, সে সব জায়গায় ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে একটু একটু করে। তাই পুজোর মুখে হাসি ফুটছে ব্যবসায়ীদের মুখে।
তবে ছোঁয়াচ এড়াতে সতর্কতামূলক সব রকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেস্তরাঁ মালিকেরা। ‘থার্মাল গান’ দিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা, মাস্ক, হাতশুদ্ধি তো আছেই। মেনু কার্ডের আকৃতিতেও বদল আনা হয়েছে। কোথাও আবার মেনুকার্ড দেখার জন্য ‘কিউআর কোড’-এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের পার্ক সংলগ্ন রেস্তরাঁর কর্ণধার সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগে বসার জায়গা ছিল ৬০টি। তা কমিয়ে করা হয়েছে ৪০টি। ঢোকার মুখে তাপমাত্রা পরীক্ষা, হাতশুদ্ধি, মাস্ক না থাকলে মাস্ক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছোঁয়াচ এড়াতে তাঁবু আকৃতির মেনুকার্ড তৈরি করা হয়েছে, যাতে দূর থেকেই ক্রেতা দেখে নিতে পারেন। টেবিলে এক বার ব্যবহার করে ফেলে দিতে হয় তেমন টেবিল ক্লথ ব্যবহার করা হচ্ছে। থাকছে জৈব উপাদানে তৈরি খাবারের প্লেট। ব্যবহারের পরে, যা ফেলে দিতে হয়। কর্মীরা হাতে গ্লাভস, মাথায় টুপি, মুখে মাস্ক-সহ যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে খাবার পরিবেশন করছেন। তিনি বলেন, ‘‘ধীরে ধীরে ক্রেতারা আশ্বস্ত হচ্ছেন। ভয় ভাঙছে। আগের মতো লোক না হলেও পুজোর কেনাকাটা শুরুর পরে, ভিড় বাড়ছে। আশা করা যায়, পুজো পর্যন্ত পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হবে।’’ শপিং মল থেকে বাজার করে ফেরার পথে রেস্তরাঁ থেকে খেয়ে বেরিয়ে দেবযানী রায় বললেন, ‘‘লকডাউনের পরে এই প্রথম রেস্তরাঁয় ঢুকলাম। সতর্কতামূলক সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
তবে সকলেই যে ভীতি সরাতে পারেননি। বেনাচিতির তন্ময় মল্লিক বললেন, ‘‘বাজার করতে বেরিয়ে আমি অন্তত কোনও রেস্তরাঁয় যাব না।’’ সিটি সেন্টারের ক্ষুদিরাম সরণির ধারের একটি হোটেল-রেস্তরাঁর কর্ণধার কবি দত্ত বলেন, ‘‘যে সমস্ত ক্রেতারা আসছেন তাঁরা প্রায় সবাই নিয়মিত আসেন। নতুন সে ভাবে কেউ আসছেন না। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি, স্পর্শ এড়াতে মেনুকার্ডে ‘কিউআর কোড’-এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তা-ও ভীতি কাটছে না।’’ বেনাচিতির এক রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, পুজোর কেনাকাটা শুরু হওয়ার পরে ক্রেতার সংখ্যা প্রায় পাঁচগুণ বেড়েছে।
তবে, ডিএসপি টাউনশিপের ফাস্টফুড সেন্টারগুলিতে সন্ধ্যায় খাবার অর্ডার দিয়ে রীতিমতো অপেক্ষা করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। স্বাস্থ্য-বিধি মানতেও খুব একটা দেখা যায় না। রান্নার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের মাস্ক মুখে থাকে না। ক্রেতাদের মাস্কেরও একই হাল। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মী বলেন, ‘‘সপ্তাহখানেক হল ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। পুজোর কেনাকাটা যত বাড়বে, ভিড় তত বাড়বে বলে আশা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy