কালনা শহরে পানীয় জলের সঙ্কট। নিজস্ব চিত্র।
তীব্র গরমের মধ্যে জলকষ্ট দেখা দিয়েছে কালনা শহরের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর ধরেই গরমকালে জলকষ্টের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
চাহিদা মেটাতে পুরসভার তরফে জলের ট্যাঙ্ক দেওয়া হচ্ছে বটে, তবে সে ট্যাঙ্কও সব দিন সময়ে পৌঁছচ্ছে না। স্থানীয় পুর প্রতিনিধি এবং পুরসভাকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি তাঁদের।
সকাল ৯টা বাজতে না বাজতে রোদে-গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে বার বার স্নানের প্রয়োজন হলেও জলের অভাবে তার উপায় নেই ওই এলাকাবাসীর। ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শ্যামলী দাস জানান, সারা বছরই জল কষ্ট থাকে, গরমে তা বাড়ে। এখন পুরসভার জল বলতে সকালের দিকে ঘণ্টা খানেক। তার গতিও তেমন থাকে না। পুরসভা যে ট্যাঙ্ক দিয়েছে সেখান থেকেই জল আনা হচ্ছে। মাত্র দু’মগ জলেই স্নান সারতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। অপর বাসিন্দা চন্দ্রশেখর সিংহ, রিঙ্কু দাসরা জানান, প্রয়োজনের তুলনায় কম জল মেলায় অনেককে জল কিনেও খেতে হচ্ছে। অনেকেই পাশের বাড়ির কুয়োর জলে কাপড় কাচা-সহ অন্য কাজ সারছেন।
সম্প্রতি ২ নম্বর ওয়ার্ডে সিদ্ধেশ্বরীপাড়ার বাসিন্দা কৃষ্ণগোবিন্দ দাস পুরসভাকে চিঠি লিখে জলকষ্টের কথা জানান বলে জানা গিয়েছে। সেখানে তিনি সমস্যার পাকাপাকি সমাধানের আবেদন জানিয়েছেন। তবে কোনও ফল এখনও হয়নি বলে দাবি তাঁর। ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিরা দাস জানান, গত শনিবার পুরসভার তরফে দু’টি জল ভর্তি ট্যাঙ্ক দেওয়া হয়েছে। তবে এই শনিবার সকাল থেকে সে ট্যাঙ্ক দু’টি দেখা যাচ্ছে না।
সমস্যার কথা স্বীকার করে পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধই সুনীল চৌধুরী বলেন, “১, ২ এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকায় গ্রীষ্মে জলের সমস্যা রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। তীব্র গরমের কারণে জলস্তর নেমে গিয়েছে। তার মধ্যেও পাইপ লাইন ওয়াশ করে জল পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে। অস্থায়ী ভাবে সমস্যা মেটাতে জলের ট্যাঙ্ক দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ভাদুরিপাড়া এলাকায় একটি পাম্প বসানোর পরিকল্পনা হয়েছে। তার টেন্ডার প্রক্রিয়াও হয়ে গিয়েছে। ভোটের পর কাজ শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy