জলের সমস্যা নিয়ে জেরবার এলাকার বাসিন্দা। —নিজস্ব চিত্র।
কল আছে, কিন্তু তাতে জল নেই। পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে জেরবার বর্ধমান শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের খাজা আনোয়ার বেড় পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড গরমে জলকষ্টে ভুগছেন তাঁরা। অভিযোগ, নানা জায়গায় দরবার করেও এই সমস্যার সুরাহা হয়নি। এই ঘটনায় সোমবার ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মহিলারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই এলাকায় যাঁদের সামর্থ আছে তাঁরা বাড়িতে পাম্প বসিয়েছেন। কিন্তু, যাঁদের সামর্থ নেই তাঁরা বহু দিন ধরে জল না পেয়ে দিশেহারা। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, গত দু’বছর ধরে এই সমস্যা চলছে। এলাকায় বর্ধমান পুরসভার কয়েকটি পানীয় জলের কল রয়েছে। কিন্তু, জলের অভাব প্রকট। কল থেকে নামমাত্র জল পড়ে। সোমবার এলাকার মহিলারা একত্রিত হয়ে স্লোগান তোলেন, যদি পানীয় জলের ব্যবস্থা না করা হয় তা হলে আগামী নির্বাচনে ভোট বয়কটের ডাক দেবেন তাঁরা।
এলাকার বাসিন্দা ঝুমা দাস বলেন, “আমরা বেশ কয়েক বার এ বিষয়ে দরখাস্ত জমা দিয়েছি। কিন্তু কারও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। কাউন্সিলর বলেছেন, নিজেরা ব্যবস্থা করে না-ও। আমরা চাইছি জলের ব্যবস্থা হোক। নয়তো ভোট দিতে যাব না।” আর এক বাসিন্দা চন্দনা কুন্ডু বলেন, “এলাকায় দু’টি কল রয়েছে। কোনওটাতেই জল থাকে না। জল না পেলে ভোট দেব না আমরা।” এ নিয়ে আর এক বাসিন্দা শান্তি শেঠ বলেন, “এই জায়গাটা উঁচু বলে নাকি জল আসে না। সবাই কি পাম্প বসাতে পারে? আমরা চাই একটা সিলিন্ডার কল বসানো হোক।” তাঁর প্রশ্ন, “জল ছাড়া কি বাঁচা সম্ভব?” স্থানীয় বাসিন্দা অশোক মাহাতো বলেন, “গরিব মানুষেরা খুব অসুবিধায় রয়েছেন। বিশেষ উপলক্ষ ছাড়া জল আসে না। আম্রুত প্রকল্পের কলেও জল অমিল।”
এই অভিযোগ মেনে নিয়েছেন বর্ধমান পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরেশ সরকার। তিনি জানান, দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এই নিয়ে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “পানীয় জলের নামে আট বছর ধরে বর্ধমান শহরের রাস্তা কাটা পড়ে আছে। জলযন্ত্রণা ও রাস্তা যন্ত্রণায় শহরের নাগরিকরা জেরবার। তবু পুরসভার কোনও হেলদোল নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy