দাবি, এই সব এলাকার উন্নয়নের। আসানসোলে। নিজস্ব চিত্র
কয়েক দিন আগে আসানসোল পুরসভার বাজেট পেশ হয়েছে। ওই বাজেটের ২৫ শতাংশ বস্তি এলাকার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করার দাবি জানিয়েছেন বাম কাউন্সিলরেরা। সম্প্রতি একটি প্রতিনিধিদল পুরসভা কমিশনার তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরির সঙ্গে দেখা করে এই দাবির কথা জানান।
আসানসোল পুরসভা এ বার ১৫৬৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে। এর পরেই বাম কাউন্সিলরেরা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন খাতে ব্যয়-বরাদ্দের পরিমাণ ধরা হলেও বস্তি এলাকায় উন্নয়নের জন্য নির্দিষ্ট করে অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পুরসভার বিরোধী নেতা সিপিএমের তাপস কবি বলেন, ‘‘শহরের বস্তি এলাকাগুলি অবহেলিত। ‘হাউসিং ফর অল’ নামে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প এখনও শেষ হয়নি।’’ বিরোধীদের আরও অভিযোগ, বস্তি এলাকায় বহু জায়গাতেই বিজ্ঞানসম্মত শৌচাগার নেই। রাস্তা, নিকাশির সমস্যা আছে। তাপসবাবুর দাবি, ‘‘এই বিষয়গুলি নিয়ে প্রতিটি বোর্ড সভাতেই আমরা সরব হয়েছি। কোনও ফল হয়নি বলে পুরসভার কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি নিয়ে আর্জি জানিয়েছি।’’
পুরসভার কমিশনার জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি যথাস্থানে অবশ্যই জানাবেন। যদিও আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি পাল্টা দাবি করেছেন, আসানসোলের শ্রীনগর ও ধাদকা এলাকায় বস্তিবাসীদের জন্য কয়েক হাজার বহুতল আবাসন নির্মাণ করা হয়েছে। পুরসভার ১০৬টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন বস্তিতে প্রায় ৪৫ হাজার শৌচাগার নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। একাধিক বস্তিতে গণশৌচাগার তৈরি হয়েছে। পুরসভার কর্তাদের আরও দাবি, প্রতিটি ওয়ার্ডে বস্তিবাসীদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫টি করে বাড়ি তৈরির প্রকল্প শুরু হয়েছে। মেয়রের কথায়, ‘‘বস্তি উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনও রকম গাফিলতি বা অস্বচ্ছতা নেই। ধারাবাহিক ভাবে উন্নয়নের কাজ চলছে।’’
যদিও মেয়রের এই দাবিদাওয়ার কথা বাম কাউন্সিলরেরা জানান, ২০০৯ সালে সাবেক কুলটি পুরসভার আমলে কুলটির বিভিন্ন বস্তি অঞ্চলে গৃহহীনদের বাড়ি তৈরি করার জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ এসেছিল। বরাকর, কেন্দুয়া, সীতারামপুর, নিয়ামতপুর এলাকায় বাড়ি তৈরির কাজ শুরুও হয়েছিল। উপভোক্তারা নিজের ভাগের টাকা পুরসভায় জমা দেন। কিন্তু বাড়ি তৈরির কাজ এ পর্যন্ত শেষ হয়নি। আরও অভিযোগ, বরাকরের রামচন্দ্র ডাঙাল এলাকায় খোঁজ করলেও এমন একাধিক অর্ধসমাপ্ত বাড়ির খোঁজ মিলবে। দ্রুত সেই সব অসমাপ্ত বাড়িগুলি সম্পূর্ণ করার আর্জি জানিয়েছেন বাম কাউন্সিলেরেরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে পুরসভার তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy