ছবি সংগৃহীত।
তাঁর এলাকা উন্নয়নের তহবিল থেকে তিন বছরে একটিও কাজ করা যায়নি, অভিযোগ দুর্গাপুর পূর্বের সিপিএম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়ের। সে জন্য দুর্গাপুর পুরসভার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। সম্প্রতি বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন বলে দাবি করেন বিধায়ক। যদিও পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি, বিধায়কের কোনও প্রকল্পের কথা তাঁদের জানা নেই।
সিপিএম বিধায়ক জানান, ২০১৬ সাল থেকে ৫৫টি প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে সাবমার্সিবল পাম্পসেট বসানো, টিউবওয়েল বসানো, রাস্তা তৈরি, পথবাতির ব্যবস্থা, বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী-ছাউনি নির্মাণ, শৌচাগার গড়া, শিশু উদ্যানের সংস্কার, নর্দমা তৈরির মতো নানা কাজ। সেই সমস্ত প্রকল্পের পরিকল্পনা তিনি নির্দিষ্ট সময়ে জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছেন। পরে সেগুলির অনুমোদনও দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা দুর্গাপুর পুরসভা সেগুলি নিয়ে উচ্চবাচ্য করতে চাইছে না বলে অভিযোগ বিধায়কের।
সন্তোষবাবুর অভিযোগ, ‘‘তিন বছর ধরে অনুমোদন হয়ে পড়ে আছে বেশ কয়েকটি প্রকল্প। সেগুলি বাস্তবায়িত হলে হাজার-হাজার মানুষ উপকৃত হতেন। আদৌ বাস্তবায়িত হবে কি না, সেটাই ভাবছি!’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে অন্তত ১৩টি প্রকল্পের পরিকল্পনা জমা দেওয়ার পরে, জেলা প্রশাসন থেকে অনুমোদনও দেওয়া হয়নি।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, ‘‘রাজনৈতিক স্বার্থে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে চলেছে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা। দুর্গাপুরের মানুষ তৃণমূলকে বর্জন করলেও ওদের কোনও হেলদোল নেই।’’ শহরের তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘গত লোকসভা ভোটে বিজেপিকে সমর্থন করে সাধারণ মানুষের কাছে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে সিপিএম নিজেই। তাই ওদের কথায় কিছু যায় আসে না।’’
দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি অবশ্য দাবি করেন, ‘‘বিধায়ক দুর্গাপুরের কোনও প্রকল্পের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারকে এক বার জিজ্ঞেস করেছিলাম, ওঁর প্রকল্পের বিষয়ে। তিনি জানান, কোনও অর্থ হাতে আসেনি। তাই এই অভিযোগ নিয়ে কিছু বলার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy