বর্ধমানে মহম্মদ সেলিম। নিজস্ব চিত্র
কাটোয়ায় প্রস্তাবিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য পড়ে থাকা জমিতে শিল্প গড়ার দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সিপিএম। আজ, মঙ্গলবার একটি সভা করে কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটিই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে বলে ঠিক হয়েছে। সোমবার বর্ধমানের পার্কাস রোডে সিপিএমের জেলা অফিসে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘শিল্পের জমিতে কোনও ভাবেই আবাসন গড়তে দেওয়া যাবে না। মঙ্গলবার থেকে আমাদের আন্দোলন শুরু হবে।’’
সিপিএমের দাবি, রাজ্য সরকার কাটোয়ায় প্রস্তাবিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রর জমি এনটিপিসির কাছ থেকে ফেরত নিয়ে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেবে বলে ঠিক করেছে। ওই সংস্থা সেখানে শিল্পের বদলে আবাসন গড়ে তুলবে। বুধবার কলকাতায় জমি কেলেঙ্কারি, ফসলের ন্যায্য দাম, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতেও রাস্তায় নামা হবে, জানান সেলিম।
২০০৫ সালের ৬ অগস্ট কাটোয়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি বের করে রাজ্য সরকার। জেলা ভূমি অধিগ্রহণ দফতর ৫৫৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে। আরও ৩১ একর জমি অফিস বানানোর জন্য নেওয়া হয়। মোট ৫৮৭ একর জমি ২০১১ সালে এনটিপিসির হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে এনটিপিসিকে রাজ্য সরকার ১০০ একরের মতো জমি ব্যবহার করার লিজ দেয়। এনটিপিসি আরও ১০০ একরের মতো জমি কেনে। এর পরে প্রায় ১২ বছর কেটে গেলেও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ার কাজ এগোয়নি। বর্ধমান-কাটোয়া ব্রডগেজ রেললাইন, জমি কেনা, জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে এনটিপিসি ৩৭২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। সম্প্রতি জমি ফেরত দিয়ে বিনিয়োগের টাকা ফেরত চেয়েছে এনটিপিসি। রাজ্য সরকার নীতিগত ভাবে জমি ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে রাজি হলেও, কয়েকটি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, ‘‘মঙ্গলবারের সভায় একটি কমিটি গঠন করা হবে। তারাই আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করবে।’’ তাঁর দাবি, অধিগৃহীত জমিতে শিল্প গড়ার দাবিতে জেলা প্রশাসনের কাছে বেশ কয়েক বার আবেদন জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘শিল্পের জন্য অধিগৃহীত জমি শিল্পের জন্যই ব্যবহার করার নিয়ম। কিন্তু তৃণমূলের সরকার সেই নিয়মকে তোয়াক্কা না করে জমি বিক্রির কাজে নেমে পড়েছে।’’
কাটোয়ার বিধায়ক তথা জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এনটিপিসি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়তে পারছে না, এটা ঘটনা। সে জন্য আমরা চিঠি দিয়ে রাজ্য সরকার ওই জমিতে শিল্প গড়ুক, সেই দাবি জানিয়েছিলাম। মন্ত্রিসভাতেও ঠিক হয়েছে, ওই জমিতে বিদ্যুৎ-শিল্প গড়ে উঠবে। এর মধ্যে অন্য কাউকে জমি দেওয়া বা আবাসন গড়ার কোনও বিষয় নেই। কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেও আমরা করতে দেব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy