Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Jamuria

প্রশাসনের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কোভিড সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে পুরসভা এবং পঞ্চায়েত এলাকায় করোনা-সংক্রমণের হদিস মিলবে, সেই এলাকাকে (‘বুথ’) ‘কনটেন্টমেন্ট জ়োন’ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২০ ০৫:১১
Share: Save:

এক রাতে মোট চার জন করোনা-রোগীর হদিস মিলেছে জামুড়িয়ার শেখপুরের একটি পাড়ায় ও রানিগঞ্জের ওল্ড মাইনাসে। কিন্তু তার পরেও রবিবার সকাল পর্যন্ত সে ভাবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি প্রশাসনকে, অভিযোগ এলাকাবাসীর একাংশের।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কোভিড সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে পুরসভা এবং পঞ্চায়েত এলাকায় করোনা-সংক্রমণের হদিস মিলবে, সেই এলাকাকে (‘বুথ’) ‘কনটেন্টমেন্ট জ়োন’ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। সেই মতো, শেখপুর ও ওল্ড মাইনাসের দু’টি বুথ এলাকাকে ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে নির্দেশিকা অনুযায়ী, করোনা-সংক্রমণের হদিস মেলার আধ ঘণ্টার মধ্যে রোগীর বাড়িতে জীবাণুনাশক ছড়াতে হবে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ‘কনটেনমেন্ট জ়োন’ হিসেবে ঘোষণা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। অন্তত ২১ দিন এলাকাবাসীর গতিবিধির উপরে পুলিশি নজরদারি রাখতে হবে। অত্যাবশকীয় কাজ ছাড়া যাতে কেউ বাইরে না বেরোন, তা নিশ্চিত করতে হবে।

তবে নির্দেশিকা অনুযায়ী নিয়মগুলি মানার ক্ষেত্রে খামতি দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ দু’টি এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের। শেখপুরের ওই পাড়ার বাসিন্দা রাজেশ চট্টোপাধ্যায় ও সুনীল শর্মারা ফোনে সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, রবিবার সকালে প্রশাসন তাঁদের এলাকাকে ‘কনটেনমেন্ট জ়োন’ হিসেবে ঘোষণা করলেও এলাকাটি রবিবার দুপুর পর্যন্ত ‘সিল’ করেনি। এই পরিস্থিতিতে রাজেশবাবু বলেন, “পুলিশ-প্রশাসনের এক প্রতিনিধি এলাকায় ঢোকা-বেরনোর রাস্তা আমাদেরই বাঁশ দিয়ে ঘিরে দিতে বলেন। আমরা সেই মতো কাজ করেছি।’’ করোনা-রোগীর সন্ধান মিললেও তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে নয়, বরং ১৬ ঘণ্টা পরে রোগীর বাড়িতে জীবাণুনাশক ছড়ানো হয় বলে এলাকাবাসীর দাবি।

একই ভাবে ওল্ড মাইনাস এলাকাতেও রোগীর খোঁজ মেলার প্রায় ১৯ ঘণ্টা পরে, রবিবার বিকেলে রোগীর বাড়িতে জীবাণুনাশক ছড়ানো হয় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা কৈলাশ কেওট, নরেশ পাসোয়ান প্রমুখ। স্থানীয় বাসিন্দা তথা ডিওয়াইএফ-এর জেলা সভাপতি সাগর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রোগীর খোঁজ মেলার আট ঘণ্টা পরেও প্রশাসনের কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। তার পরে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে বাসিন্দারাই এলাকা ঘিরে দেন।’’

যদিও এলাকাবাসীর তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন ‘‘প্রশাসন অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। ‘কনটেনমেন্ট জ়োন’ ঘোষণার পরে সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর কাছে অনুরোধ, আপনারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। ‘মাস্ক’ পরুন। সব নিয়ম মেনে চললে করোনা-লড়াইয়ে আমরা অবশ্যই জিততে পারব।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Jamuria Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy