—নিজস্ব চিত্র।
এক দশক আগে শিল্পশহরের বন্যপ্রাণপ্রেমী সংগঠন ‘উইংস’-এর সদস্যেরা শুরু করেছিলেন ‘দুর্গাপুর ব্যারাজ বার্ড ওয়াক’। তার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের তৃতীয় রবিবারে শীতকালে চলে পাখি গণনার কাজ। বিশ্ব জুড়ে এই দিনটিতে হয় ‘গ্রেট ব্যাকইয়ার্ড বার্ড কাউন্ট’।
২০১৫ সাল থেকে শুরু হওয়া উদ্যোগটি এ বার ১০ বছরে পদার্পণ করল। বন দফতরের সহযোগিতায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটির মূল তিন লক্ষ্য হল, মোট প্রজাতির সংখ্যা ও প্রত্যেক প্রজাতির পাখির সংখ্যার একটা বার্ষিক হিসাব রাখা, নতুন উৎসাহীদের পক্ষী পর্যবেক্ষণের পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত করানো এবং পাখি ও তাদের বাসস্থান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি।
এ বার মোট ন’জন পক্ষী পর্যবেক্ষণ ও গণনাতে অংশগ্রহণ করেন। ৭২ প্রজাতির (যা আগের বছরের চেয়ে ছ’টি কম) মোট ৮৮৮টি পাখি পাওয়া গিয়েছে গণনায়। হিসাব বলছে, দুর্গাপুরের দামোদরে হাঁস ও তটের পাখিদের (ওয়াডার্স) সংখ্যা আগের চেয়ে কমে গিয়েছে। কিছু সচরাচর পাওয়া যায় এমন পাখি যেমন, চখাচখি, পিং হাঁস, জলমুরগি, জলকুক্কুট, বিলিতি জিরিয়া ইত্যাদি এই বছর দেখা যায়নি। যদিও গত দু’বছর ধরে না-পাওয়া পরিযায়ী পাখি টেমিঙ্ক স্টিন্টের আবার দেখা মিলেছে। যা আগে বেশ ভাল সংখ্যায় মিলত, কিন্তু ব্যারাজে শুরু হওয়া নির্মাণ কাজের পর তাদের দেখা মিলছিল না।
সংগঠনের সদস্য সাগর অধূর্য বলেন, ‘‘৫-৭ বছর আগে সচরাচর দেখা মিলত এরকম কিছু পাখি, যেমন লিটল স্টিন্ট এবং উড স্যান্ডপাইপার এ বছরও দেখা যায়নি।’’ তিনি জানান, বিগত ক’বছরে ব্যারাজের পাখিদের বাসস্থানের অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। বাঁকুড়া জেলার দিকে পার্ক নির্মাণের পরে অনেক পাখির বাসস্থান হারিয়ে গিয়েছে। যার ফলে কয়েক ধরনের প্রজাতি ধীরে ধীরে হারিয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy